দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিয়োগকৃত বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারিদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ ৪ দফা দাবিতে সোমবার সকালে খনি চত্বরে গেট সভা করেছে খনির শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়ন (সিবিএ)।
    শ্রমিক ও কর্মচারিদের গেট সভায় চার দফা দাবিনামা পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার।

চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, (১) কোম্পানীর অর্গানোগ্রাম থেকে আউট সোর্সিং বাতিল করে কর্মরত সকল অস্থায়ী ও আউট সোর্সিং কর্মচারিদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের শূন্যপদে একই সাথে নিয়োগদান, (২) বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জন্য পেনশন প্রথা চালু করা, (৩) দেশের সকল কয়লাখনি বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা এবং (৪) কোম্পানীর টেকনিক্যাল কাজের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের স্বার্থে কর্মকর্তা ও কর্মচারিদেরকে এক সাথে বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
সংগঠনের সভাপতি আবুল কাশেম শিকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত গেট সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান, যূগ্ম-সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, অর্থ সম্পাদক শাহিন মন্ডল, সদস্য আজগর আলী প্রমূখ।
সংগঠনের সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার বলেন, খনির জন্মলগ্ন থেকেই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে শ্রমিক ও কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড কর্তৃপক্ষ কাজ করে নিচ্ছে। এমন ১৪১জন শ্রমিক ও কর্মচারি স্থায়ী নিয়োগের আশায় ১২ থেকে ১৫ বছর ধরে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনের কাজ চালিয়ে খনিকে আলোকিত করে চলেছেন। এদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য বারংবার কর্তৃপক্ষের কাছে ধরণা দিয়ে কোন কাজ হচ্ছে না। অথচ ২০০৮ সালে কর্তকর্তা ও কর্মচারি নিয়োগের জন্য পত্রিকার মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ করলেও কর্মচারি নিয়োগ বন্ধ রাখেন। আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে ১৪১জনের স্থায়ী নিয়োগসহ ৪দফা দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে দাবি আদায়ের জন্য খনির সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ করে খনিকে অচল করে দেয়া হবে।

(এজি/পিবি/জুলাই ০৬,২০১৫)