চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আবু সায়েম (৩৫) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার বাবা আবুল খায়ের বাচ্চু মোল্লা আহত হয়েছেন। নিহত সাংবাদিক আবু সায়েম জীবননগর পিয়ারাতলার আবুল খায়ের বাচ্চু মোল্লার ছেলে।

তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমকাল পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি।

বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঢাকা মহাখালী বক্ষব্যাধী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজের শয়ন কক্ষে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

জীবননগর উপজেলার দৈনিক সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি ও জীবননগর বার্তার সম্পাদক শামসুল আলম জানান, সায়েম রাতে বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ পরে লালসালু পরিহিত এক দুর্বৃত্ত তার শোবার ঘরে ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় সায়েম চিৎকার করলে তার বাবা আবুল খায়ের বাচ্চু তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্ত তাকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে সায়েম বুকে ও তার বাবা হাতে ও মাথায় আঘাত পান।

স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাড়ির লোকজন সায়েমকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে যশোর আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

যশোর আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সায়েমের শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা বক্ষব্যাধী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সায়েমের মৃত্যু হয়।

সাংবাদিক আবু সায়েমের অকাল মৃত্যুর খবরে গোটা জেলায় সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জীবননগর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশরাফ জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মনোহরপুর এলাকা থেকে রাজিব (৩২) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

তিনি দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুরের মতিয়ার রহমানের ছেলে।

তিনি আরো জানান, ঘটনার পর তার কাছ থেকে ৮ ইঞ্চি ধারালো ছুরি ও এক টুকরো লালসালু কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত সায়েমের বাবা রাজিবকে ওই দুর্বৃত্ত হিসেবে সনাক্ত করেছেন। কি কারণে সায়েমকে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

(ওএস/অ/জুলাই ০৮, ২০১৫)