আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রোদি সরকারের সিনেটর গ্রেগেরিওকে ৩৩ লাখ ইউরো ঘুষ দিয়ে  ক্ষমতায় এসেছিলেন ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনি। বুধবার দেশটির নেপলসের একটি আদালতে এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

আদালত চার বারের প্রধানমন্ত্রিত্বের পর ক্ষমতা হারানো বার্লুসকোনিকে সেইসঙ্গে আগামী পাঁচ বছর জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজের অযোগ্য ঘোষণা করেছে।

বিবিসি জানায়, আইনের মারপ্যাঁচে ৭৮ বছর বয়সী এই ধনকুবেরকে জেল খাটতে না হলেও রোমানো প্রোদি নেতৃত্বাধীন মধ্য-বামপন্থি জোট সরকারকে হটানোয় যে ষড়যন্ত্র ছিল, তা আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ক্ষমতাগ্রহণের দুই বছরের মাথায় ২০০৮ সালে পতন ঘটে প্রোদি সরকারের এবং তারপর নির্বাচনে মধ্য-ডানপন্থি জোট নিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরেছিলেন বার্লুসকোনি।

বুধবার রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বার্লুসকোনি, তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন। তার আইনজীবী নিক্কোলো গেদিনি বলেছেন, এই দণ্ড ‘অযৌক্তিক’ এবং তার মক্কেলের উপর ‘অবিচার’ হয়েছে।

সেই সঙ্গে এই আইনজীবী বলেন, ‘স্ট্যাচিউট অফ লিমিটেশনসের’ কারণে বার্লুসকোনিকে কোনো দণ্ড ভোগ করতে হবে না।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেনরি জন উডকক বলেন, “ভালো একটি বিচার হয়েছে। কিন্তু কারাদণ্ডের রায়টি কার্যকর হবে না, এটাই দুঃখজনক।”

এছাড়া বার্লুসকোনি কর ফাঁকির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, ইতালিতে ৭৫ বছরের বেশি বয়সীদের কারাদণ্ড দেওয়া হয় না বলে তাকে বাধ্যতামূলক সমাজসেবায় শ্রম দিতে হচ্ছে।

তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মামলায় খালাস পেয়েছেন ইতালির মিডিয়া মুঘল নামে পরিচিত বার্লুসকোনি, যিনি ফুটবল ক্লাব এসি মিলানেরও মালিক।

(ওএস/এএস/জুলাই ০৯, ২০১৫)