দিনাজপুর প্রতিনিধি : ইউএনওকে ঘুষ দেয়ার অপচেষ্টার অপরাধে বৃহস্পতিবার ৬ ঘন্টা পুলিশি হেফাজতে আটক থাকতে হয়েছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। অবশ্য পরে ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেয়েছেন ঐ কর্মকর্তা।

জানা যায়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম উপজেলার ৫টি রেজিষ্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের জন্য ঐ বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ বানিজ্য করেন। ঐ বিষয়ের নথিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুস সালামের স্বাক্ষরের জন্য প্রথমে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছাড়াই তার একক স্বাক্ষরে জাতীয়করণের নথি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বৃহস্পতিবার প্রেরণ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঐ শিক্ষা কর্মকর্তাকে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টা পুলিশ হেফাজতে আটক রাখা হয়। পরে জেলা দপ্তর থেকে নথি ফেরৎ আনাসহ কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে রক্ষা পেয়েছেন আটক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, এখানে যোগদানের আগ থেকেই শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরটি অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ঘুষ দেয়ার অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে একটি মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঐ শিক্ষা কর্মকর্তা ইউএনও-এর স্বাক্ষর ছাড়াই জাতীয়করণের নাথি জেলা অফিসে প্রেরণসহ অনিয়ম ও দুর্নীতিতে মেতে উঠেছেন।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছিল। ক্ষমা চাওয়াসহ ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ডে লিপ্ত না হওয়ার অঙ্গীকারে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে দিনাজপুরের দুদক উপ-পরিচালক আব্দুল করিমকে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই না বলে নিশ্চুপ থেকে চলে যান।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির দুর্নীতি বিরোধী সভায় শিক্ষা কর্মকর্তার বিষয়টি মূল আলোচনায় পরিণত হয়েছিল।

(এসিজিএ/পিএস/জুলাই ০৯, ২০১৫)