মোঃ আব্দুল কাইয়ুম(মৌলভীবাজার):প্রবাসী অধ্যুসিত জেলা শহর মৌলভীবাজারের বিপণীবিতান গুলিতে বিগত বছরগুলোকে ছাড়িয়ে এবারো ভারতীয় পোশাকের একক আধিপাত্য চোখে পড়ার মতো । শহরের বিভিন্ন ব্যাস্থ শপিং মল,নামি দামি বিপনী বিতান ঘুরে এ দৃশ্য দেখা  গেছে, দিন যতই গড়াচ্ছে ততই শহরের এম,বি ক্লথষ্টোর, বিলাস ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর,আল মাদনা ক্লথষ্টোর নুর ব্রাদার্স সহ অভিজাত সকল বিপনী বিতান গুলোতেই বাড়ছে ক্রেতার ব্যাপক আনাগোনা ,তবে এসব প্রতিষ্ঠানের পোশাকের মান ভালো হওয়ায় দামও অতিরিক্ত যার কারনে সাধ্যের ভিতরে  কেনাকাটা করা মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগালের বাইরে ।

তবে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে ক্রেতার উপচে পড়া ভীড়, কেউ আসছে ছেলে/মেয়ের জন্য আবার কেউ আসছে পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য শাড়ী, লেহেঙ্গা,থ্রী পিছ কিংবা অন্য পোষাক কিনতে, শহরের অভিজাত শপিং মল এমবি ক্লথ ষ্টোরে দেখা হয় অপরিচিত এক ব্যাক্তির সংগে তিনি ছেলে/মেয়ে সহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে প্রথমে পরিচয় দিয়ে তার কাছে জানতে চাইলাম কি কিনেছেন জবাবে তিনি হাসীর ছলে বললেন ভাই প্রতি বছরইতো আমাদের কপালে ভারতীয় টিভি চ্যানেল গুলোর আর্শিবাদে নতুন কিছু থাকে তাই এবারও মেয়ের জন্য কিরন মালা না কিনে কি থাকা যায়? আলাপের এক পর্যায়ে তিনি ক্ষোভের সংঙ্গে জানান এবারও কিরন মালা,কটকটি,দুপিয়ান ও মুদি ড্রেস শীর্শস্থান দখল করে আছে যার কারনে আমাদেও মতো অভিবাকদের চিন্তার শেষ নেই। শুধু কিরন মালা নয় পৃথীবির পোষাক শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বব্যাপী নন্দিত তার পরেও এখানে ভারতীয় পোষাকের একক নিয়ন্ত্রন নিয়ে আমাদেও মতো সচেতন মানুষের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বিরাজমান।তবে বিলাস ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরের মালিক সুমন আহমদ জানান কিরন মালার প্রতিটি ড্রেস অথবা শাড়ীর মুল্য চার হাজার থেকে পয়ত্রিস হাজার পর্যন্ত রয়েছে তিনি বলেন নিম্নবিত্ত অথবা মধ্যেবিত্তরা বেশিরভাগ দেশীয় কাপর কিনছেন এ দিকে ছেলে মেয়েদের মধ্যে ভারতীয় পোষাকের প্রতি ঝোক বেশী থাকায় অভিবাবকদের পক্ষে তা নিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছেনা যার কারন হচ্ছে ভারতীয় বাংলা চ্যানেলের সিরিয়ালের কু প্রভাব। বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল, প্রিন্ট মিডিয়া ও বর্তমান অবাধতথ্য প্রবাহের যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকের কারনে বহু শীরনাম দেখা গেছে বছরের পর বছর জুড়ে । বিগত কয়েকদিনে কুড়িগ্রাম সহ দেশের দুই জেলায় কিরন মালা কিনে না দেয়ার খেসারত দিতে হয়েছে অনেককে আর এ কারনে এক কলেজ ছাত্রী ও একজন স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যার খবরও পাওয়া গেছে। কারো পরিবারে অশান্তিরআগুন আবার কারো জীবন প্রদীপ নিভে গেছে অকালে। প্রতি বছরই এসব কারনে আমাদের নিজ দেশেও অনেক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বহু পরিবার ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়েছে তার পরেও সচেতন হচ্ছেনা মানুষ।

(এমএকে/এসসি/জুলাই১১,২০১৫)