ডেস্ক রিপোর্ট : একটি মানুষের সব ইচ্ছেই কি পূরণ হয় ? সাধ্যমত ইচ্ছাপূরনের চেষ্টা করার পরেও সাধ্যের বাইরেই থেকে যায় কিছু ইচ্ছা। আর তাই জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে অনেক বিষয় নিয়েই আফসোস করে মানুষ। বিশেষ করে পুরুষদের মনে নানান বিষয় নিয়ে থাকে হতাশা। অনেক ইচ্ছা অপূর্ন রয়ে যাওয়ার কারণে কিংবা অনেক সুযোগ হাত ছাড়া করার আফসোস গুলো মনে পড়ে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে। কিন্তু তখন কোনোভাবেই সেই ফেলে আসা সময়টাতে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আফসোস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। জেনে নিন তেমনই ৬টি আফসোস সম্পর্কে যেগুলো অধিকাংশ পু্রুষই জীবনের শেষ পর্যন্ত করে থাকেন।

ভালোবাসার কথা না জানাতে পারা
খুব ভালোবেসে ফেলেছিলেন কাউকে। কিন্তু কোনো দিনও মুখ ফুটে জানাতে পারেন নাই ভালোবাসার কথাগুলো। এমন তো নয় যে ভালোবাসার কথা গুলো বলে দিলে পছন্দের মানুষটিকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেতেন। কিন্তু মনের গভীরের অনুভূতিগুলো প্রকাশ তো করা হতো তাই না ? আপনার পছন্দের মানুষটি জানতে পারতো আপনি তাকে কতটা ভালোবেসেছেন। পছন্দের মানুষটিকে ভালোবাসার কথা মুখ ফুটে না বলতে পারার আফসোস পুরুষরা সারাজীবনই করে থাকে। এমনকি এরপর অন্য কারো সাথে সুখী বিবাহিত বন্ধনে আবদ্ধ হলেও সেই আফসোস মনের কোনে জমে থাকে। তাই জীবনের শেষ পর্যায়ে গিয়েও আফসোস করতে না চাইলে ভালোবাসার কথা জানিয়ে দিন প্রিয় মানুষটিকে।

আরেকটু ভালো করে পড়াশোনা করা
যখন পড়াশোনা করার বয়স থাকে তখন প্রায় সবাই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে নাহলে অন্য কিছু করে সময়টাকে নষ্ট করে। কিন্তু ছাত্র জীবনের পরের থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত অধিকাংশ পুরুষদের আফসোস রয়ে যায় এই বিষয়টি নিয়ে। তখন তাদের মনে হয় ছাত্র জীবনে আরো একটু ভালো করে পড়াশোনা করা উচিত ছিলো।

ভুল চাকরী নির্বাচন
জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পুরুষদের মনে আফসোস জন্মায় তার চাকরী নির্বাচন নিয়ে। জীবনের প্রথম চাকরী নির্বাচন, একই চাকরীতে দীর্ঘদিন আটকে থাকা এবং ক্যারিয়ার সম্পর্কিত আরো নানান বিষয় নিয়ে আফসোস করেন অধিকাংশ পুরুষ। বিশেষ করে জীবনের শেষ পর্যায়ে এসেও যারা খুব বেশি সঞ্চয় করতে পারেন নাই কিংবা সাফল্য অর্জন করতে পারেন নাই তাদের এধরণের আফসোসগুলো বেশি হয়।

সঠিক সময়ে বিয়ে না করা
শুনতে অদ্ভুত শোনালেও সত্যি যে অধিকাংশ পুরুষই জীবনের শেষ পর্যায়ে গিয়ে সঠিক সময়ে বিয়ে করতে না পারার কারণে আফসোস করেন। বিশেষ করে চাকরী থেকে অবসর নেয়ার পরে এধরণের আফসোস গুলো বেশি করে থাকেন পুরুষেরা। সন্তান কর্মক্ষম হওয়ার আগেই যেসব বাবারা অবসরগ্রহণ করেন তাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে আফসোস করে থাকেন।

অতিরিক্ত কাজের কারণে নিজের ও পরিবারের জন্য সময় না রাখা
কর্মজীবনে কাজ ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না অধিকাংশ পুরুষ। পরিবার, বাবা-মা কিংবা নিজের জন্য একেবারেই সময় থাকে না তাদের। ফলে পারিবারিক সুখ-শান্তি, আনন্দ, হাসি-খেলা সব কিছু থেকেই নিজেকে বঞ্চিত করে ফেলে বেশিরভাগ পুরুষ। আর তাই এই বিষয়টিও তাদের আফসোসের কারণে পরিণত হয়।

ধূমপান না ছাড়া
যে সব পুরুষ বেশ কম বয়স থেকেই ধূমপান শুরু করেন তাদের নানান রকম শারীরিক জটিলতা শুরু হয় জীবনের শেষ প্রান্তে। আর তখন তাঁরা আফসোস করেন সময়মত ধূমপান ত্যাগ না করার কারণে।

(ওএস/অ/মে ২০, ২০১৪)