সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁওয়ে ওয়ার্কশপের খুঁটির সাথে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করে ১৩ বছরের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় চৌকিদার ময়না মিয়ার ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসী ময়নাকে ধরে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছিলেন। এদিকে রাজন হত্যা মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে তদন্ত ভার ডিবিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে, বুধবার দুপুরে রাজনের খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুলাল আহমদ (৩০) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের ভিডিও ক্লিপে দুলাল এর ছবি আছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আলমগীর হোসেন সিলেট মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিমের আদালতে ময়নার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান। আদালত শুনানি শেষে ময়নার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলার প্রাথমিক তদন্তে খুনের সাথে সরাসরি ময়না জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আসলে কি কারণে রাজনকে হত্যা করা হয়েছে এর পেছনের কারণ ও কতজন জড়িত এ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ময়নাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর পরই ময়নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জালালাবাদ থানা হেফাজতে নিয়ে গেছে পুলিশ।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. রহমত উল্লাহ ময়না মিয়ার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও রাজন হত্যা মামলার তদন্তভার ডিবিতে স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ৮ জুলাই সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও বাস স্টেশন এলাকার একটি ওয়ার্কশপের খুঁটির সাথে বেঁধে প্রায় দেড় ঘণ্টা অমানুষিক নির্যাতন করে ১৩ বছরের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে হত্যা করা হয়।

(ওএস/এএস/জুলাই ১৫, ২০১৫)