স্টাফ রিপোর্টার : বিশিষ্ট সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য আতিকুল আলম ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।তিনি ঈদ উদযাপনের জন্য বগুড়ার শ্বশুরালয় অবস্থানকালে সোমবার বিকাল ৫টায় ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, নাতি-নাতনি ও আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহীসহ সাংবাদিকতা পেশার অগণিত ভক্ত রেখে গেছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

মঙ্গলবার মরহুম আতিকুল আলমের ঢাকাস্থ বাসভবন মগবাজার কাজী অফিস লেনে জানাজা শেষে বনানী গোরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

আতিকুল আলম ১৯৩৪ সালের ১৪ জুন পাবনা জেলার ফরিদপুর থানার বনওয়ারী নগরের হাশিমাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মরহুম কবি আবুল হাশেম।

বর্ণাঢ্য সাংবাদিক আতিকুল আলমের সাংবাদিকতা শুরু চট্টগ্রামের ইস্টার্ন এক্সামিনার পত্রিকার মাধ্যমে। এরপর তিনি ডেইলি ইউনিটি, পাকিস্তান টাইমসের ঢাকা ব্যুরো চিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পরে তিনি রয়টার্স ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা ব্যুরো চিফ হিসেবে এবং বিবিসির ঢাকা ব্যুরো চিফের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলা পত্রিকা দৈনিক অর্থনীতি প্রতিদিনের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি সাপ্তাহিক হলিডে, ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউন পত্রিকায় স্বনামে ও বেনামে বহু প্রতিবেদন লিখেছেন।

কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি পাবনা থেকে প্রকাশিত পাবনা হিতৈষী পত্রিকায় লেখালেখির মধ্য দিয়ে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু।

আতিকুল আলমের ইন্তেকালে জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি শোক প্রকাশ করেছে।

জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী এক শোকবার্তায় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

তারা বলেন, আতিকুল আলম ছিলেন সাংবাদিকতা জগতের এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন এই বরণ্যে সাংবাদিকের নিষ্ঠা, সাধনা আদর্শ ও পেশার প্রতি অঙ্গীকার তরুণ সাংবাদিকদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

(ওএস/অ/জুলাই ২০, ২০১৫)