শাহজাদপুর প্রতিনিধি : পল্লবী থানার কন্সটেবল দম্পতির বাসায় কাজের মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের শাহজাদপুরের বাড়িতে শোকের মাতম দেখা দিয়েছে।

সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদর রূপপুর নতুন পাড়া গ্রামের তাঁত শ্রমিক ফুলচানের মেয়ে হোসনেয়ারা (১৪) কে নির্মম নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত হোসনেয়ারার শরীরে ও গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন ও একটি দাত ভাঙ্গা রয়েছে।

অপরদিকে, এটিকে আত্মহত্যা বলে লাশ গোপনে দাফনের চেষ্টা করলে ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ নিহতের লাশ ফুলচানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহতের পিতা ফুলচান জানান, হোসনেয়ারাকে লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া উপজেলার শেলন্দা গ্রামের মামা শ্বশুরের ছেলে আব্দুল আলিমের বাড়িতে রেখে দেন। তাকে না জানিয়ে তারা সেখান থেকে ঢাকার মিরপুর-১৪ এর পুলিশ লাইন্সের ৩নং কোয়ার্টারের পল্লবী থানার কন্সটেবল দম্পতি জয়নব বেগম ও সাদ্দাম হোসেনের বাসায় ৬ মাস পূর্বে ঝি এর কাজে নিযুক্ত করে।

সোমবার ভোরে মোবাইল ফোনে তাকে জানানো হয় তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। দুপুরে লাশ বাড়িতে এনে তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা করলে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তারা লাশ চেকআপ করে নিহতর শরীরে ও গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন ও একটি দাত ভাঙ্গা দেখতে পায়।

এ সময় পুলিশে খবর দিলে অন্যান্যরা মাইক্রোবাস নিয়ে সটকে পড়ে। এ সময় কন্সটেবল জয়নবকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ ব্যাপারে নিহতের চাচাতো ভাই শাহজাদপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবুল্লাহ বলেন, পল্লবী থানার কন্সটেবল দম্পতি জয়নব ও সাদ্দাম তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এরপর এ হত্যাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহের উদ্দেশ্যে তারা নানা রকমের ছল-চাতুরির আশ্রয় নিয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানা পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

অপরদিকে কন্সটেবল জয়নব বলেন, হোসনেয়ারা তার বাসার বাথরুমে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

শাহজাদপুর থানার এসআই বানী ইসরাইল ও অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হক বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এআরপি/পিএস/জুলাই ২০, ২০১৫)