মিলন কর্মকার রাজু,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)থেকে :গায়ে নতুন জামা, মায়ের জন্য নতুন কাপড়। ঈদ উৎসব করার জন্য সবটুকুই পেয়েছেন সেই মেধাবী খাদিজা। তাঁর পড়ালেখার জন্য অর্থের আর অভাব হবে না। ঈদের আগে নিজ বাসায় ডেকে ঈদ খরচ দেয়াসহ তাঁর ভবিষত স্বপ্নপূরনের সকল দায়িত্ব নেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমান তালুকদার। সেই সাথে নিজ হাত খরচের জন্য খাদিজাকে একটি সেলাই মেশিন দেয়ারও আশ্বাস দেন।

খাদিজার উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নপূরণে কলাপাড়ার সংসদ সদস্য ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছেন। তাঁরা খাদিজার স্বপ্নপূরনের জন্য নগদ অর্থ প্রদানসহ তাঁকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ কারনে খাদিজার পরিবারে এখন শুধুই সুখের হাসি।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের বিশকানি গ্রামের খাদিজা এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও আর্থিক দৈন্যতায় তাঁর উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নপূরণ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। বাবা ভ্যানচালক আলমাস প্যাদা সাতশ টাকা ধার করে তাঁর ভ্যানে করে খাদিজাকে নিয়ে এসে কলাপাড়া মহিলা কলেজে ভর্তি করেন। কিন্তু আর্থিক দৈণ্যতায় কেনা হয়নি বই। নেই কলেজে যাওয়ার ভালো পোশাক। তাই মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে ভ্যানচালক বাবা রাস্তায় রাস্তায় সহযোগীতা প্রার্থনা করে মানুষের।

এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ হলে কলাপাড়ার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমান তালুকদার তাঁর উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব নেন। এ সংবাদটি দেখে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ তার সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

খাদিজা বলেন,“ আমারে এমপি স্যার বাসায় নিয়া ঈদ খরচ দেছে। ল্যাহাপড়ারও খরচ সে দেবে স্যারে। আরও মানুষ আমারে সাহায্য করেছে। আমি ল্যাহাপড়া কইর‌্যা ভালো ফলাফল কইর‌্যা তাঁদের মুখে এখন হাসি ফোটাতে চাই। তাঁদের সহযোগীতা না পাইলে হয়তো মোর পক্ষে ল্যাহাপড়া করা সম্ভব হইতো না”।

খাদিজার পিতা আলমাস প্যাদা বলেন,“ ঈদের জন্য এমপি স্যার খাদিজা ও তাঁর মায়রে(মাকে) নতুন কাপড় দেছে। ঈদ করার টাহা দেছে। একটা সেলাই মেশিনও দেবে। আর ল্যাহাপড়ার খরচও সব দেবে কইছে। মোর আর চিন্তা নাই। আরও কতো মানুষ ফোন কইর‌্যা খাদিজারে সাহায্য করবে কইছে। অনেকে টাহাও দেছে। মোর মাইয়াডার কপাল ভালো। এইজন্য সাংবাদিকগো কাছে মুই কৃতজ্ঞ।

সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, খাদিজা মেধাবী ছাত্রী। তাঁকে সব ধরনের সহযোগীতা তিনি করবেন। শুধু খাদিজা না তিনি এভাবে অনেক গরীব-মেধাবীদের সহযোগীতা করছেন। যে গ্রামে স্কুল নেই সেই গ্রামে স্কুল করেছেন। শিক্ষার প্রসারে তার এ সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে।




(এমকেআর/এসসি/জুলাই২১,২০১৫)