গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বর্নি ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ১ জন নিহত এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। স্বপ্না বিশ্বাস (৩০) নামের ওই গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে বর্নি পূর্বপাড়ার বাসিন্দা এসকেন বিশ্বাসের স্ত্রী। তার স্বামী বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থক।

পুলিশ সংঘর্ষ ঠেকাতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। ঘটনাস্থল থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন জমাদ্দার ও সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান মন্টুসহ উভয় গ্রুপের ২২ জনকে আটক করেছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র রামদা, সড়কি, চাপাতি, স্যান ও কুড়াল উদ্ধার করে। মারাত্মক আহত ৩ জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় গ্রেপ্তার অভিযান চলছিল।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে উভয় গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে সাবেক চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান মন্টুর সমর্থক হোসাইন ও বর্তমান চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন জমাদ্দার সমর্থক লাসু জমাদ্দারের মধ্যে রাস্তার ইট উঠানোকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের লোকজন লাঠি-সোটা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ঘটনাস্থল থেকে ২২ জনকে আটক করে।

টুঙ্গিপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার ও পুলিশের উপ-পরিদর্শক একরাম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান উভয়ে উভয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী। এদের কারণেই এই এলাকায় প্রায়ই ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এই কারণে তাদের দু'জনসহ ২২ জনকে আটক করা হয়েছে।

(এমএইচএম/পিএস/জুলাই ২২, ২০১৫)