স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : কোপা বিপর্যয়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে না লিওনেল মেসির দুঃস্বপ্ন। এ বার তাকে তাড়া করল আর এক নতুন বিতর্ক। এবার সমালোচনার বিষয়, ২০১৭ সালে সালে অনুষ্ঠেয় আফ্রিকা কাপ অফ নেশন্সের জন্য স্টেডিয়ামের গ্যাবন স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গিয়েছিলেন মেসি। অভিযোগ, গ্যাবনের কলঙ্কিত প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গোর কাছ থেকে অবৈধভাবে প্রায় আড়াই মিলিয়ন ইউরো ‘পারিশ্রমিক’ নিয়েছিলেন তিনি। যদিও গ্যাবন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে মেসিকে পারিশ্রমিক দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়।

কে এই আলি বঙ্গো? ফুটবলে মেসির যত না রেকর্ড, রাজনীতিতে বঙ্গোর বিরুদ্ধে ততধিক অভিযোগ। ফরাসি পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় উপরের দিকে রয়েছেন তিনি। গ্যাবন ছাড়াও ফ্রান্সে নাকি ৩৯টা বাড়ি আছে বঙ্গোর। যিনি নাকি দেশের টাকা নিজের ইচ্ছেমতো নয়ছয় করেছেন। বঙ্গোর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একবার ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধার করেন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা। গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতি করার অভিযোগও রয়েছে বঙ্গোর বিরুদ্ধে।

এহেন চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তির আমন্ত্রণে গ্যাবনে পা রেখেছেন মেসি। যা নিয়ে বহু ফরাসি দৈনিক তার কড়া সমালোচনা করেছে। অনেক দৈনিকের অভিযোগ, সব জেনেশুনেও অর্থের তাগিদে এক দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে যাচ্ছেন আর্জেন্টাইন তারকা। অনেকে দাবি করছেন, বঙ্গোর সব খবরাখবর নিয়ে তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল মেসির।

এই সুযোগে রোনালদো ভক্তরাও মেসিকে একহাত নিয়ে রাখলেন। ক্লাবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে না গিয়ে কেন তিনি গ্যাবন চলে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। বঙ্গো নিজে অবশ্য বলে দিচ্ছেন, ‘কয়েক বছর আগে যখন আমি বার্সেলোনায় ছিলাম, তখন মেসির সঙ্গে আলাপ হয়। ও কথা দিয়েছিল আমার দেশে আসবে। সেই কথাই ও রেখেছে।’

বার্সায় তার সতীর্থ লুই সুয়ারেজও মেসির পাশে দাঁড়িয়েছেন। সুয়ারেজ বলেন, ‘বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে নিয়ে সবাই এত খারাপ কথা বলছে দেখে খুব খারাপ লাগছে। আমরা সবাই মানুষ।’

(ওএস/পি/জুলাই ২২, ২০১৫)