স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হওয়া মানেই ছিল এক অসম লড়াই। সেখানে বাংলাদেশের পরাজয় অবধারিত। কিন্তু দিন এখন পাল্টে গেছে। বড় দল বলে এখন আর বাংলাদেশের সামনে কিছু নেই। বড়দেরকে নিয়মিতিই হারাতে পারে টাইগাররা। বিষয়টা সম্ভবত হজম করতে কষ্ট হচ্ছে তথাকথিত বড়দের। যার তিক্ততা কিছুটা হলেও মাঠের আচরণে পড়ছে বিভিন্ন সময়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের সময়েই দেখা গিয়েছিল ওয়াহাব রিয়াজের সঙ্গে সাকিবের কথা কাটাকাটি। ভারত সিরিজের সময় তো প্রথম ম্যাচেই কাঁধের ধাক্কায় মুস্তাফিজকে মাঠের বাইরেই পাঠিয়ে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের ‘কুল’ অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সেই মুস্তাফিজ যখন মাঠে ফিরে এলেন, তখন এক ধাক্কায় পুরো ভারতকেই ম্যাচ থেকে বের করে দিয়েছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই সিরিজেও তেমন একটু আধটু তিক্ততা যে বন্ধ রয়েছে তা নয়। বরং, একটু বেশিই হচ্ছে। নির্দিষ্ট করে বললে, তামিম ইকবালের সাথেই বেশি। ওয়ানডেতে তামিম ইকবালকে ধাক্কা মেরেছিলেন রিলে রুশো। যে কারণে, জরিমানাও গুনতে হয়েছিল প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যানকে। তিক্ততা ছড়িয়েছে চট্টগ্রামের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও। সেই তামিমের সঙ্গেই প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে। পরে আমলা আর স্টেইনের মধ্যস্থতায় থামে তামিম-ডি ককের ঝগড়া।

ঘটনাটা ঘটেছে মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে। হঠাৎ'ই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তামিম ইকবাল আর কুইন্টন ডি কক। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে সকাল থেকেই খুব উচ্চকণ্ঠ ছিলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক। প্রতিটি বলেই কণ্ঠে আওয়াজ তুলছিলেন তিনি।

ব্যাপারটা আর যাই হোক; কিন্তু তামিমের সঙ্গে কী নিয়ে ঝগড়া লাগলেন তিনি, তা বোঝা যায়নি। তবে যে নিয়েই হোক, ব্যাপারটা যে তামিমের খুব একটা ভালো লাগেনি, সেটা বোঝা গেল তার প্রতিউত্তরেই। ঝগড়া করতে আসা ডি কককেও পাল্টা দু’এক কথা শুনিয়ে দিলেন তিনি।

পরিস্থিতি যখন খারাপের দিকে যাচ্ছিল, তখন দু’জনের মাঝে দাঁড়িয়ে গেলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলা। তিনি ডি কককে কিছু একটা বোঝাচ্ছিলেন। তখনও উত্তেজিত ছিলেন তামিম। এবার হস্তক্ষেপ করেন ডেল স্টেইন। তিনি তামিমকে নিয়ে যান আরেক পাশে। তাতেই থামে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।

(ওএস/পি/জুলাই ২২, ২০১৫)