ঝালকাঠি প্রতিনিধি : নলছিটি পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইভটিজার চক্র। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক যাতায়াত। স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম হয়েছে অনেকের। এ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছে অভিভাবক মহল।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইভটিজারদের অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির আওয়াধীন নয়। ফলে চক্রটি সুযোগ পেয়ে হয়ে উঠছে বেপরোয়া।

এসব ইভটিজার সিন্ডিকেটের সদস্যরা শহরের পৌর ভবন সংলগ্ন চায়না মাঠ, রাস্তা, পশু হাসপাতাল রোড, ক্রীড়া সংস্থা ভবনের আশপাশ, নলছিটি সিনিয়র মাদ্রাসা, সদর হাসপতাল রোড, ডিগ্রী কলেজ রোড, লঞ্চঘাট, কলবাড়ী রোড, মল্লিকপুর, নান্দীকাঠী মোড়, তালতলা রাস্তার মোড়, মাটিভাঙ্গা এলাকাসহ বিভিন্ন টিজিং পয়েন্টে বিভিন্ন ভাবে ছাত্রীদের উত্যক্ত করছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে ও ছুটির পর ছাত্রীদের বাড়ি ফেরার পথে আকস্মিক ফিল্মি স্টাইলে পথ আগলে রাখা ও বিভিন্ন উপায়ে প্রেম নিবেদনসহ কুরুচিপূর্ণ বাক্য ছুড়ে দিচ্ছে এসব উঠতি বয়সের ছেলেরা।

দিনের আলোতে ইভটিজিং আর সন্ধ্যার পর এসব পয়েন্টে বসে মাদকের জমজমাট আড্ডা। এসব এলাকায় উঠতি বয়সী কিছু বখাটে যুবক মদ-গাঁজা সেবন করে বখাটেপনা, চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপরাধ ও চলার পথে মহিলাদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এদের অপতৎপরতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাদের বেপরোয়া উৎপাতে স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, অভিভাবক মহলসহ সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের এ অপতৎপরতা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর ভবন সংলগ্ন চায়না মাঠ, রাস্তা, পশু হাসপাতাল রোড, ক্রীড়া সংস্থা ভবনের আশপাশ, নলছিটি মাদ্রাসাসহ স্পর্শকাতর কয়েকটি স্থানের ক্ষাণিকটা দূরে নলছিটি পুলিশ ফাঁড়ির হাবিলদারের নেতৃত্বে একটি টহল টিম প্রতিদিন উিউটি পালন করলেও পুলিশ সদস্যদের বেশীরভাগ সময় উপজেলা শ্রমিকলীগ অফিস ও কয়েকটি দোকানে বসে থাকতে দেখা যায়। টহল পুলিশ একটু সচেষ্ট হলে এসব পয়েন্টে মাদক ও ইভটিজিং অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসত বলে সচেতন এলাকাবাসীর অভিমত।

নলছিটি থানার ওসি এস.এম মাকসুদুর রহমান বলেন, মাদক, ইভটিজিং এবং অন্যায়ের ব্যাপারে পুলিশের কোন আপস নেই। ইতোমধ্যে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে ইভটিজার, মাদকসেবী ও বিক্রয়কারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি ও জরিমানা করা হয়েছে।

(এএম/পিএস/জুলাই ২২, ২০১৫)