লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় মিষ্টি খেয়ে খাদ্য বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের ১২জনসহ অর্ধশত লোকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। উপজেলার মুন্সিরহাট বাজারের আল মদিনা রেস্তরা থেকে মিষ্টি কিনে খাওয়ার পর চর মার্টিন গ্রামে গত মঙ্গলবার বিকালে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর দোকানের সাইনবোড সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং মালিক পালিয়েছে। অসুস্থদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল, কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মুন্সিগঞ্জ বাজারের মো: হাসানের মালিকাধীন আল মদিনা রেষ্টুরেন্ট থেকে মিষ্টি কিনে খাওয়ার পরপরই ওই সকল গ্রামবাসি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থদের মাঝে বেশিরভাগই ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহষ্পতিবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে, কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্থানীয় সানা উল্লাহ মেডিক্যাল সেন্টারে ও বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেনে।

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগীরা হলেন চর মার্টিন এলাকার লাল মিয়া হাজী বাড়ির বাসিন্দা হাসিনা (৩০), নাজিম (৫), মুরশিদা (৪০), সুমন (১২), মিতু (১০), মাইমুনা একই এলাকার (১৩), সেলিনা (১১), কল্পনা (৪০), রোজিনা (৩০), হারুন (৩০), নিজাম (২৫), শিমা (২৫), হাসান (৮) হাফসা (৫)।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছেন মুন্সিরহাট এলাকার শান্ত (৬), শুভ (১০), নিশাদ (১২) সুজন (৭), রিমা (১২), সাইমুন (১২) মিম (৪), শাহিন (১৫)।

মুন্সিরহাট বাজারের সানা উল্যাহ ক্লিনিকে শফিক উল্যাহ (৪৫) মারজাহান (২৫), মো. ইব্রাহীম (৩৫), আবদুল্লাহ (৫), আবদুল মান্নান (৪৫), আমেনা বেগম (৪০), ওসমান গণি (৫০), ফারজানা আক্তার (১২) আয়ুব আলী (৩৮) ও সফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রায় ৫০ জন চিকিসাধীন রয়েছেন।

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মীর মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, মিষ্টি খেয়ে ডায়রিয়া আক্রান্তরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি।

কমলনগর উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান বলেন, আইন অমান্য করে পঁচাবাসি মিষ্টি বিক্রি করা হয়েছে। এ মিষ্টি খেয়ে বিষক্রিয়ায় অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জেন্ট গোলাম ফারুক ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অসুস্থ হওয়া অধিকাংশই শিশু বাচ্চা। বেশির ভাই রোগী ডায়ারিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়। তাদের চিকিৎসা চলছে।


(এমআরএম/এসসি/জুলাই ২৩,২০১৫)