চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা প্রোটিয়ারা বিনা উইকেটে ৬১ রান সংগ্রহ করে বড় সংগ্রহেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসে মাঠে শুরু করা ইনিংসটাকে যে দীর্ঘ করতে চান সেটিই স্পষ্ট করলেন সফরকারী দলের অফ-স্পিনার সিমন হার্মার।

প্রথম ইনিংসে এক দিনের মধ্যেই প্রোটিয়াদের অলআউট করে দেয় টাইগাররা। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব, মুস্তাফিজদের মোকাবেলার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এ প্রেটিয়া বোলার বলেন, ‘উপমহাদেশে তৃতীয় দিন থেকে স্পিন ভালো কাজ করে। আমি মনে করি, টার্গেটের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আগামীকাল প্রথম সেশনে ভালো করতে হবে। কারণ তাদের (বাংলাদেশ) স্পিনও ভালো হবে। ফলে প্রথম সেশনটা ভালো করতে হবে। বাংলাদেশি বোলারদের কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যাটিং করবে ব্যাটসম্যানরা।’

চতুর্থ দিনই এ টেস্টের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে সিমন বলেন, ‘এরই মধ্যে উইকেটে র্টান নেয়া শুরু হয়েছে। চতুর্থ দিন থেকে উইকেটে ব্যাট করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়বে। আগামীকাল আমাদের অবশ্য ভালো করতে হবে। উইকেটে টিকে থেকে রান তুলতে হবে। বড় একটি জুটি গড়তে হবে।’

ম্যাচের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন শেষের দিকে হানা দিয়েছে ক্রিকেটের ‘প্রধান শত্রু’ বৃষ্টি। ফলে দু দিনে নষ্ট হয়েছে ৫০ ওভারের চেয়েও বেশি। নষ্ট হওয়া ওভারগুলোর ম্যাচে প্রভাব ফেলছে জানিয়ে সিমন বলেন, ‘বৃষ্টি ও আলো-স্বল্পতার কারণে অনেক ওভার নষ্ট হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদের টিমের সিনিয়র খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমার মনে হয় ড্রেসিং-রুমে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।’

ম্যাচে তিন দিনে আধিপত্য বজায় রেখেছে টাইগাররা। তাদের প্রশংসা করে এ প্রোটিয় স্পিনার বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালো ব্যাটিং-বোলিং করেছে। তাদের রান রেটও অনেক হাই ছিল। ম্যাচে তাদের শারীরিক ভাষাও ছিল আক্রমণাত্মক। আমরা অনেক ক্যাচ মিস করেছি। কালকে আমাদের ভালো করে ব্যাট করতে হবে।’

টানা বৃষ্টি হলেও উইকেটের চরিত্র পরিবর্তন হবে বলে মনে করেন না এ দক্ষিণ আফ্রিকান অফ-স্পিনার। তার মতে, ‘ভারি বৃষ্টিতে উইকেটের চরিত্রের তেমন একটা পরিবর্তন হবে বলে আমি মনে করি না।’

প্রতিপক্ষের প্রধান টার্গেটই থাকে বিশ্বের সেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এ অল-রাউন্ডারের উইকেট নিতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবানই মনে করেন তরুণ এই অফ-স্পিনার। তিনি বলেন, ‘সাকিব ফিফটি করার জন্য মেরে খেলার চেষ্টা করছিল। এ সুযোগে তার উইকেট নেয়ার চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি। তার উইকেট নিতে পেরে নিজেকে ভাগ্যমান মনে করছি।’

নিজেদের ফিল্ডিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে সিমন বলেন, ‘ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ফিল্ডিং। গতকাল আমরা এই জায়গায় খারাপ করেছি। এছাড়া কিপিংটাও ভালো করতে হবে।’

ম্যাচের চতুর্থ দিনের পরিকল্পনা নিয়ে তেমন কিছু না বললেও শুধু বলেছেন, ‘চতুর্থ দিন নিয়ে অনেক আইডিয়া আছে। আগামীকাল কিভাবে তাদের (বাংলাদেশ) বোলারদের মোকাবেলা করে ব্যাটিং করবো সেজন্য আলোচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো।’

(ওএস/পি/জুলাই ২৩, ২০১৫)