লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের বেইলী প্যানেল ভেঙ্গে ও দেবে যাওয়ায় গত দু’দিন ধরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে ওই সড়কের ফকির বাজার নামক স্থানের ব্রিজটি দিয়ে অতিরিক্ত একটি মালবাহী ট্রাক পার হওয়ার সময় এ ঘটনাটি ঘটে।

এতে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ, রায়পুরসহ চাদঁপুর জেলার ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি উপজেলার যাত্রীদের চরম র্দুভোগ পোহাতে হচ্ছে। শনিবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদনী ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় হাজী সমশের আলী ও ব্যবসায়ী খাঁন মারুপসহ কয়েকজন জানান, ব্রিজটি ভেঙ্গে দেবে যাওয়ার পর থেকে দুই পাশে বহু গাড়ি দীর্ঘ লাইনে রয়েছে। লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা আল-আরাফা পরিবহনের একটি বাস আটকা পড়েছে। হঠাৎ এ ধরনের দুর্ঘটনায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে অন্যান্য যানবাহনের যাত্রীরাও। তবে বিকল্প হিসেবে ফকির বাজার থেকে গল্লাক বাজার সিআইপি বেড়িবাঁধ সড়ক দিয়ে রামগঞ্জ যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু ওই সড়কে রিকশা কিংবা অটোরিকশা ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলে না। এতে গত দু’দিনেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যানবাহন চলাচল সচল না করায় ঢাকা ও চট্রগাম বিভাগীয় শহরে যাতায়াতের জন্য বিকল্প সড়কে প্রায় ৫০ কিলোমিটার বাড়তি পথ অতিক্রম করে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। এতে চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অরিক্তির ১’শ টাকা করে বাড়তি আদায় করার অভিযোগ রয়েছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন জানান, ব্রিজের প্যানেল দেবে যাওয়ার কারণে ঝুঁকি নিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ঘটনাটি জানিয়েছি। তারা মেরামতের ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।

রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুব আলম জানান, রাতে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রামগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিস্তু দু’দিন পার হলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন ব্রিজটি এখনও মেরামত করেনি তা আমাদের জানা নেই।

চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন জানান, অতিরিক্ত মালবাহী ট্রাক পার হওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো সারা রাত কার করা হয়েছে। সন্ধ্যার মধ্যে ব্রিজটির মেরামত কাজ শেষ হবে। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।


(এমআরএস/এসসি/জুলাই ২৫, ২০১৫)