স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : মুদ্রার অপরপিঠও দেখতে হয় মাঝে-মাঝে। ট্রেবল জয়ের পর হারের বেদনা কেমন সেই স্বাদই হয়তো নিতে হচ্ছে বার্সেলোনাকে। গত সপ্তাহের ম্যানইউর কাছে হারের পর এবার আরেক ইংলিশ জায়ান্ট চেলসির কাছেও হারলো কাতালানরা। তবে এবার এত সহজে নয়, টাইব্রেকারে গিয়ে হেরেছে বার্সা। নির্ধারিত সময় ছিল ২-২ গোলে ড্র। এরপর পেনাল্টি শ্যুটআউটে বার্সা হেরেছে ৪-২ ব্যবধানে।

এই হারের পরই বোঝা গেলো, মেসি-নেইমারছাড়া বার্সা কতটা দুর্বল দল। শুধু মেসি-নেইমারই নয়, বেশ কিছু সিনিয়র ফুটবলার নেই কাতালানদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে। যে কারণে ম্যানইউর পর এভাবে চেলসির কাছে হারতে হলো লুইস এনরিকের দলকে।

প্রাক মওসুমে এখন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে বার্সেলোনা। গত সপ্তাহে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি বার্সা। মঙ্গলবার রাতে এগিয়ে গিয়েও নির্ধারিত সময়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ড্র হল। শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসিই। কিন্তু মাঝে দুই গোল হজম করে হোসে মরিনহোর শিষ্যরা পরাজয়ের প্রহরই গুনতে শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার মাত্র ৫ মিনিট আগে চেলসি সমতায় ফিরে আসলে টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। সেখানে চেলসি গোলরক্ষক থিবাত কুর্তোয়ার কাছেই হার মানতে হয় বার্সেলোনাকে।

ম্যাচের ১০ মিনিটে এডিন হ্যাজার্ডের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি। বিরতির সময় ১-০ গোলেই এগিয়ে ছিল মোরিনহোর ছেলেরা। বিরতির পরে সুয়ারেজ ও সান্দ্রো র‍্যামিরেজ ৫২ ও ৬৬ মিনিটে পরপর দুই গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন। এরপর ৮৫ মিনিটে গ্যারি কাহিল গোল করে চেলসির পক্ষে সমতা ফেরান। টাইব্রেকারে বার্সার পক্ষে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা এবং সান্দ্রো র‌্যামিরেজ গোল করতে পারলেও জেরার্ড পিকের শট ঠেকিয়ে দেন চেলসি গোলরক্ষক কুর্তোয়া। এছাড়া গোল মিস করেন হ্যালিলোভিক। চেলসির পক্ষে চারটি শটই জড়ায় বার্সার জালে। শট করেন ফ্যালকাও, ভিক্টর মোসেস, র‌্যামিরেস, লোইক রেমি।

(ওএস/পি/জুলাই ২৯, ২০১৫)