লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: জেলার রায়পুর উপজেলার পূর্ব চরবংশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা বা আর কোনো ভবন না থাকায় নিরুপায় হয়ে এ ভবনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

যেকোন মুহুর্তে এখানে ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। শিক্ষা অফিসের গাফিলতির কারণে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বিদ্যালয়টি পুনঃনির্মাণ তালিকাভূক্তি থেকেও বাদ পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৯৩-১৯৯৪ অর্থ বছরে ৩ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে বর্তমান বিদ্যালয় ভবনটি নির্মিত হয়। ২৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে পাঠদানরত অবস্থায়। ২০১৪ সালেও উপজেলা শিক্ষা কমিটির অনুমোদনক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পুনঃনির্মাণ তালিকা প্রেরণ করা হয়। কিন্তু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দূর্ভাগ্য যে তৎসময়ে বার বার ক্লাস্টার অফিসার (মনিটরিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা অফিসার) পরিবর্তন হওয়ায় সঠিক তথ্য উপজেলা শিক্ষা কমিটিতে না যাওয়ায় ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে পুনঃনির্মাণ তালিকাভূক্তি থেকে বাদ পড়ে যায় বিদ্যালয়টির নাম।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, রহিমা, হালিমা, আয়শা আক্তার জানায় ইতোপূর্বেও কয়েকবার তাদের উপর ভবনের আস্তর (পলেস্তরা) খসে পড়েছে। এখনো তারা ঝুঁকির মধ্যেই বাধ্য হয়ে ক্লাস করছে।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য মো. টিটু আহম্মেদ ও প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, নিরুপায় হয়ে ঝুঁকির মধ্যেও ক্লাস চলছে। অনেক স্থানে রড বেরিয়ে পড়েছে। পুনঃনির্মাণের প্রক্রিয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক ও সহকারী পরিচালক (অর্থ ও রাজস্ব) এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট আবেদন জানানো হয়েছে। জরুরিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে যেকোন মুহুর্তে এখানে দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

রায়পুরের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা ফেরদৌসী বলেন, গত অর্থ বছরে নামটি তালিকাভূক্ত হলেও এবার তা তালিকায় না থাকা অনিচ্ছাকৃত। ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় বিদ্যালয়টির নাম পুনঃনির্মাণ তালিকাভূক্তির চেষ্টা করা হচ্ছে।

(এমআরএস/এলপিবি/জুলাই ২৯, ২০১৫)