গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে ব্যাপকহারে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই অসংখ্য ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের না দিতে পারছে স্যালাইন, আর না পারছে সিট দিতে। প্রচন্ড গরম আর সেই সাথে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবেই ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে বলে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

প্রতি বছর মে মাস আসলেই গোপালগঞ্জের সর্বত্র ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। তবে এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় যেন একটু বেশীই আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিনই ৪০-৫০ জন রোগী হাসপাতালে আসছে। গত দু’সপ্তাহে সহস্রাধিক রোগি হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর চাপ এতই বেড়ে গেছে যে, ডাযরিয়া ওয়ার্ডে জায়গা দিতে পারছেনা। আর যে কারনে ওয়ার্ডের বাইরে রেইন সেডে ঠাই হয়েছে রোগীদের।

এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরুপায় বলে জানালেন। তারা জানিয়েছেন রোগী যেভাবে আসছে তাতে রেইন সেডেও জায়গা হবেনা। তারা আরো একটি বিকল্প জায়গা ঠিক করে রেখেছেন। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্যালাইন ও দিতে পারছেনা। এমনকি মুখে খাওয়া স্যালাইনও দিতে পারেছেনা। যে কারনে বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে।

হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স নির্মলা বিশ্বাস জনান, হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে গত কয়েকদিন ধরে পানি সাপ্লাই না থাকায় আরো বেকাদায় পড়েছে রোগী ও রোগীদের সাথে আসা লোকজন। শুধু খাবার পানিই নয়- বাইরে থেকে ব্যবহারের পানিও কিনে আনতে হচ্ছে। কিন্তু, সাপ্লাই পানি না থাকায় আরো সমস্যা বেড়েছে।

হাসপাতালে ওষুধ সংকট ও রোগী রাখার জায়গা সংকট স্বীকার করলেন গোপালগঞ্জ ২৫০
শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অসিত কুমার মল্লিক। সেই সাথে তাদের সীমাবদ্ধতার কথাও বললেন। তাছাড়া বিশুদ্ধ পানি আর প্রচন্ড গরমের কারনে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান।

ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য অনতিবিলম্বে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয় তার দাবী জানিয়েছেন গোপালগঞ্জবাসী।

(এমএইচএম/এটিআর/মে ২১, ২০১৪)