শরীয়তপুর প্রতিনিধি : বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে কোন মধ্যবর্তী কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। ২০১৯ সালে সংবিধানের আলোকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার সকাল ১১টায় শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিরের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা বলেন।

১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলার ৫ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমন্বয়কারি সাবেক আইজিপি আব্দুল হান্নান খান, প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ সিমন, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক রাম চন্দ্র দাস, পুলিশ সুপার সাঈফুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃনৃন্দ, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি তার বক্ত্যবে আরো বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সারা দেশে পেট্রোল বোমা হামলার জন্য খালেদা জিয়ার বিচার করা হবে। আর বর্তমান সরকার সেটা বাস্তবায়ন করবে ইনশ আল্লাহ।

তিনি বলেন, সকল যুদ্ধাপরাধীদের অবশ্যই বিচার করা হবে এবং তাদের ঢাকা শহরের কোথাও জানাযা পরতে হবে না। আর যারা গ্রামে থাকবে তাদের জানাযা না করতে দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে কারণ, ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ শহীদের মরদেহ পথে ঘাটে পরেছিল, তাদের জানাজা নামাজ পরানো যায়নি।

মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে তিনি বলেন শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলেই চলবে না সে জয় বাংলা বলে কিনা সেটাও দেখতে হবে।

মন্ত্রী দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানের জন্য সরকারের বহুমুখি পদক্ষেপেরে কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাস থেকে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ১০ হাজার টাকা কওে ভাতা প্রদান করা হবে। প্রত্যেক ঈদে মুক্তিযোদ্ধাদের বোনাস দেয়া হবে। প্রতি উপজেলায় ১ শত ২৫ জন করে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পাকা ভবন নির্মান করে দেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী বলেন, কোন মুক্তিযোদ্ধাকেই বিনা চিকিৎসায় মরতে দেয়া হবেনা।

(কেএনআই/এলপিবি/আগস্ট ২, ২০১৫)