মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নে সরকারি খাল অবৈধভাবে দখল করে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের ঘটনায় স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে বাঁধগুলো ভেঁঙ্গে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসময় খাল দখলদার ১ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কাজিবাকাই ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়া ও পূর্ব খান্দুলী গ্রামের দুটি সরকারি খালের দুই পাশে বাঁধ নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছে কাজীবাকাই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওয়াহিদুল মেম্বার ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবুল বাশার ফকির।

এছাড়াও ওই এলাকার প্রভাবশালীরা বিচ্ছিন্নভাবে বাধ নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষ করে আসছিলো। বাঁধ নির্মাণের ফলে ঐ খালগুলো দিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধির জন্য বর্ষাকালের পলিমাটি খাল নির্ভরশীল জমিতে প্রবেশ করতে পারছে না। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল কৃষকরা। এছাড়াও অতিবৃষ্টির পানিও নিষ্কাশন না হওয়ায় ক্ষেতের ফসল পানিতে ডুবে পচে নষ্ট হচ্ছিল বলে কৃষকসহ গ্রামবাসী কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি উপজেলার কাজীবাকাই ইউনিয়নের গোমার খাল ও মাইজপাড়া খালসহ বেশ কয়েকটি খাল দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। এতে করে ঐ সব এলাকার কৃষকরা ধান, পাট ও মেচতাসহ বিভিন্ন প্রকার ফসল স্থানান্তর করতে গিয়ে চরম বিপাকে পরে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত উদ্দিন রবিবার দুপুরে কালকিনির ডাসার থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ঐ ইউনিয়নের সরকারী খালের সব বাঁধগুলো ভেঁঙ্গে দেয়। এছাড়াও আবদুস ছামাদ (৪৫) নামের এক খাল দখলদারকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আটক আবদুস ছামাদ ঐ ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের জোনাব আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, কৃষকদের সমস্যা নিয়ে তাদের লিখিত অভিযোগ অনুসারে অবৈধভাবে খাল দখলের ঘটনায় বাধগুলো ভেঙ্গে দেয়া হয়। এসময় খাল দখলের অভিযোগে ১ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

(এএসএ/এএস/আগস্ট ০২, ২০১৫)