গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : ফেরি সংকটের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে স্বাভাবিক যান পারাপার ব্যহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ৩ নম্বর ঘাট দুই ঘণ্টা বন্ধ রেখে পন্টুন উঁচু করায় দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের জন্য আসা যানবাহন আটকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার দুপুরে যানবাহনের সারি ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। এতে যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, নৌরুটে ফেরির বহরে ৭ রো-রো (বড়) ও তিনটি কে-টাইপ ফেরি রয়েছে। তবে কে-টাইপ ফেরিগুলো আকারে অনেক ছোট হওয়ায় এর ধারণ ক্ষমতাও অনেক কম। ঘাট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ রুটে ১২টি রো-রো (বড়) ফেরি প্রয়োজন হলেও বর্তমানে রুটে ৮টি রয়েছে।
এর মধ্যে আবার রো-রো ফেরি বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও ইউটিলিটি ফেরি মাধবীলতা এবং বনলতা বিকল হয়ে পাটুরিয়ার ভাসমান করাখানায় মেরামতে রয়েছে। এতে ফেরির সংকট আরো তীব্র হয়েছে।
ঘাট সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ কয়েক হাজার গাড়ি নদী পারাপার হয়। অথচ দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে ফেরির সংকট কাটছে না। ঘাটের গুরুত্ব বিবেচনায় এখানে প্রয়োজনীয় ফেরি না থাকায় স্বাভাবিক যান পারাপার ব্যহত হচ্ছে। ফলে নদীপার হতে আসা গাড়িগুলো ফেরির নাগাল পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা থাকছে।
তাছাড়া রুটে চলাচলকারি কে-টাইপ (ছোট) ফেরিগুলো সবসময় ভিআইপি পারাপারে ব্যস্ত থাকছে। এতে ফেরির অভাবে সাধারণ গাড়িগুলো সময়মত নদীপার হতে পারছে না। ফলে উভয় ঘাটে নদী পাড়ের অপেক্ষমান গাড়ির সংখ্যা বেড়ে সেখানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
(ওএস/এএস/মে ২১, ২০১৪)