বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় মোটরসাইকেল আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ঠিকাদারকে মারধর করেছে পুলিশ। আহত ঠিকাদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনতা প্রায় ১ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। তাৎক্ষণিকভাবে ২ পুলিশ সদস্য কন্সষ্টেবল মনির (৩৯৯) ও লতিফ (৪৭৪) কে ক্লোজড করার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। 

থানা পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শীসহ বিভিন্ন সূত্র জানায়, দুপুরে পৌর শহরের উত্তর চৌমুহনীতে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন মোটরসাইকেল আটক অভিযানে ঠিকাদার জালাল আহমদের আত্মীয় রহিমের মোটরসাইকেল আটক করে পুলিশ। কাগজপত্র দেখে অভিযানে নের্তৃত্ব দেওয়া এসআই আক্তারুজ্জামান মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেন।

এ সময় কন্সষ্টেবল মতিন মোটরসাইকেলের মালিক রহিমকে থানা পর্যন্ত তাকে এগিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। কন্সষ্টেবল মতিনের কথায় রহিম উদ্দিন তাকে থানা পর্যন্ত পৌঁছে দেন। মোটরসাইকেল থেকে নেমে কন্সষ্টেবল মতিন রহিম উদ্দিনের গাড়ীর চাবি নিয়ে যান এবং ৫’শত টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে মোটরসাইকেলের মালিক রহিম উদ্দিন প্রতিবাদ করলে থানার সামনের দোকানে বসা কন্সষ্টেবল মনির (৩৯৯) ও লতিফ (৪৭৪) এগিয়ে আসেন। তখন কন্সষ্টেবল লতিফ (৪৭৪) মোটরসাইকেলের মালিক রহিম উদ্দিনকে মারধর করেন ও ৫’শত টাকা দাবি করেন। খবর পেয়ে ঠিকাদার জালাল ঘটনাস্থলে এলে কন্সষ্টেবল মতিন আবারো ৫’শত টাকা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় কন্সষ্টেবল লতিফ জালাল আহমদকেও লাঠিপেটা করেন ও অশালীন ভাষায় গালা-গাল করেন। এতে জালাল আহমদ গুরুতর আহত হন।

এ খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ব্যবসায়ী কবিরের নের্তৃত্বে কয়েকজন যুবক থানায় এসে মনির নামের আরো একজন কন্সষ্টেবলকে থানা ক্যাম্পাসে মারধর করেন। দ্রুত এ ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা পৌর শহরের উত্তর চৌমুহনী এলাকায় প্রায় ১ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তাৎক্ষণিকভাবে ২ পুলিশ সদস্য কন্সষ্টেবল মনির (৩৯৯) ও লতিফ (৪৭৪) কে ক্লোজড করা হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিক ক্লোজড করা হয়েছে। পরবর্তী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এলএস/এএস/আগস্ট ০২, ২০১৫)