লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: আইন শৃংখলা বাহিনী পরিকল্পিত ভাবে যুবলীগ নেতা আবু জাফর রানাকে আটক করে হত্যার করে, এ সংবাদে তার অনুসারীরা বুধবার রাতে রামগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর বাজারে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১৫টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানসহ ২টি সিএনজি ভাংচুর করেছে।

তবে লক্ষ্মীপুর জেলা ও রামগঞ্জ উপজেলার পুলিশসহ আইন শৃংখলা কোন বাহিনী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেন নি।

রানা করপাড়া ইউপি যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক করপাড়া ও একই ইউপি আ‘লীগের সাবেক সভাপতি নুরনবী খোকনের ছেলে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মহসিন, আব্বাস, রাজু ও ইব্রাহিমসহ কয়েক জানান, করপাড়া ইউপি আ‘লীগের সাবেক সভাপতি নুরনবী খোকনের ছেলে ও করপাড়া ইউপি যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক আবু জাফর রানাকে মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি থানা পুলিশ আটক করে। আটকের পর আইন শৃংখলা বাহিনী তাকে হত্যা করেছে বলে বুধবার বিকালে এমন সংবাদ এলাকাতে পৌছায়। পরে রানার সমর্থকেরা উপজেলার গাজীপুর বাজারে হামলা চালায়। এসময় হোসেন ইলেক্ট্রনিক, ভাই-ভাই ফ্যাশন গ্যালারী, মা স্টোর, রাজু ইলেক্ট্রনিকস, আব্বাস স্টোর, গোফরান স্টোর, মা টেলিকম, বেলাল স্টোর, রফিক শাহ স্টোর, মতিন সেলুন, ভাই-ভাই জেনারেল স্টোর, জহির স্টোর, ফরিদ ফার্মেসী, ইব্রাহিম স্টোর, মাইনুদ্দিন পল্ট্রি ফার্ম ও ২টি সিএনজি ভাংচুর করেন তারা।

রানার বাবা আ‘লীগের সাবেক সভাপতি নুরনবী খোকন তার ছেলেকে আটকের বিষয় নিশ্চত করলেও মৃত্যু বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলে রাজি হয়নি।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, রানা পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী। তাকে আটক বা মৃত্যুর কোন তথ্য পুলিশের কাছে নেই। রানার বিরুদ্ধে থাকায় লক্ষ্মীপুর সদর ও রামগঞ্জ থানাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য খুঁজছে।

বিস্তারিত খবর আসছে ...

(এমআরএস/এলপিবি/আগস্ট ৫, ২০১৫)