খুলনা প্রতিনিধি : খুলনায় নির্যাতনে নিহত শিশু শ্রমিক রাকিব হত্যা মামলার তদন্ত মনিটরিং করতে তিন সদস্যের কমিটি মাঠে নেমেছে।

বুধবার সকালে এ কমিটির সদস্যরা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মাহবুব হাকিমের নেতৃত্বে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।

দলের অপর দুই সদস্য হলেন- অতিরিক্ত উপ কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু ও সহকারী কমিশনার (সদর দপ্তর) হুমায়ুন কবির।

পরে তারা টুটপাড়ায় কবরস্থান সংলগ্ন খানজাহান আলী সড়কের শরীফ মোটরস নামের সেই গ্যারেজে যান; যেখানে শিশু রাকিবের পায়ুপথে কম্প্রেসার মেশিন দিয়ে পেটে হাওয়া ঢুকিয়ে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়েছিল।

এরপরে নগরীর টুটপাড়া সেন্ট্রাল রোডের নিহত রাকিবের বাসায় যান এবং তার বাবা নুরুল আলম হাওলাদার, মা লাকি বেগমসহ অন্যদের সঙ্গেও কথা বলেন।

সবশেষে টিমের সদস্যরা ঘটনার আওতাধীন খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মোশতাক আহমেদসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

কেএমপি’র মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, নিহত শিশু শ্রমিক রাকিব হত্যা মামলার তদন্ত মনিটরিং করতে মঙ্গলবার ০৪ আগস্ট খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

মিঠু জানান, শিশু রাকিব হত্যা মামলাটি যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে যেন তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হয় এ কমিটি তা পর্যবেক্ষণে রাখবে।

তিনি আরো বলেন, মামলার সঠিক তদন্ত সম্পন্ন করতে যে কোনো ধরনের সহায়তা করবে এ কমিটি। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দিক-নির্দেশনাও দেওয়া হবে। এ মামলার তদন্তে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। দ্রুত চার্জশিট দাখিলের বিষয়টিও কমিটি পর্যবেক্ষণ করবে।

কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব হাকিম বলেন, এ মামলাটি যাতে চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালানো হবে।

তিনি বলেন, এ ধরনের একটি ন্যাক্কারজনক ও লজ্জাজনক ঘটনা যা মুখে আনাও যায়না। মানুষ যে এত নিকৃষ্ট কাজ করতে পারে তা ভাবতেও ঘৃণা হয়।

উপ কমিশনার আরো বলেন, হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গ্যারেজ মালিক শরীফের মা বিউটি বেগম কিছু তথ্য দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ৬ আগস্ট আদালতে তার রিমান্ডের শুনানি হবে। আর শরীফ ও মিন্টু সুস্থ্য হলে তাদেরও প্রিজন সেল থেকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।

গত সোমবার ০৩ আগস্ট বিকেলে নগরীর টুটপাড়া কবরখানা সংলগ্ন শরীফ মটরস নামক একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজের মধ্যে নিয়ে শিশু রাকিবের পায়ুপথে কম্প্রেসার মেশিন দিয়ে পেটে হাওয়া দিয়ে হত্যা করা হয়।

(ওএস/এএস/আগস্ট ০৫, ২০১৫)