লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে বস্তায় মোড়ানো খোরশেদ আলমকে (৩০) নামের এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকার রহমতখালীর খাল থেকে বুধবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। খোররশেদ পৌর শহরের সমশেরাবাদ এলাকার আবুল বাসার বাদসার ছেলে ও লক্ষ্মীপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

নিহত খোরশেদের মা নুরজাহান বেগম ও তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার লাশ শনাক্ত করে সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ জুলাই বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়ার সময় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আফসার উদ্দিন রুবেল তার ছেলে খোরশেদ আলমকে বিনা কারণে আটক করে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে কোর্ট পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওই সময় তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। কিন্তু আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাতে আটকের ৮ দিন পরও ছেলে লাশ মিলেছে খালে বলে কান্না জড়িত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খোরশেদকে ওইদিন লক্ষ্মীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গাড়িতে করে তারা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। পরে আমরা ঘটনাটি পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে অবহিত করলে প্রথমে তারা স্বীকার করলেও পরবর্তীতে আটকের কথা অস্বীকার করে।

এদিকে গত রবিবার দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ করেন তার পরিবারে সদস্যরা। এসময় তারা মিডিয়ার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছে পরিবার।

এ বিষয়ে যোগযোগ করা হলে সদর থানার উপ-পরিদর্শক আফসার উদ্দিন রুবেল জানান, খোরশেদ আলমের আটক করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিনও আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, লাশ উদ্ধারের সময় কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাতর হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন আয়েশা আক্তার নামের তার স্বামী বলে দাবি করছেছ। সঠিক ভাবে তদন্ত করে লাশ হস্থান্তর করা হবে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল জানান, খোরশেদ নিখোঁজের বিয়ষটি তার স্বজনরা আমাকে জানিয়েছে। ওই সময় এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

(এমআরএস/এএস/আগস্ট ০৫, ২০১৫)