স্টাফ রিপোর্টার : ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্পে অর্থায়ন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশে কর্মরত সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) উন্নয়নের জন্য এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের সাথে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এসএমই প্রধানদের এক বৈঠকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে সারাদেশে সুঁচী, তাঁত, হালকা প্রকৌশল, শুটকী মাছ, লবণ, হ্যান্ডলুম, নকসী কাঁথা, জামদানি শাড়ি, কারুপণ্য, বাঁশ ও বেত শিল্প, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতরকণ, ডেইরী, ফুলচাষসহ বিভিন্ন শিল্পের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৫২ এবং এসএমই ফাউন্ডেশন ১৭৭টি ক্লাস্টারভিত্তিক শিল্প চিহ্নিত করেছে। বৈঠক থেকে প্রত্যেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ন্যুনতম একটি করে ক্লাস্টারে অর্থায়ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মাছুম পাটোয়ারী অর্থসূচককে বলেন, বিশ্বব্যাপী এসএমই খাতের উন্নয়নের মডেল হলো ‘ক্লাস্টারভিত্তিক এসএমই উন্নয়ন’। এই মডেল অনুসরণ করে এসএমই উন্নয়নে আমরা সারাদেশে ইতোমধ্যে ৫২টি ক্লাস্টার চিহ্নিত করেছি। এখন এসব ক্লাস্টারভিত্তিক এসএমই শিল্পের উন্নয়নে ঋণ বিতরণের জন্য ব্যাংকগুলোকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সারাদেশে এসব ছোট-বড় ক্লাস্টারসমূহে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা কাজ করছেন। এখানে অর্থায়নের মাধ্যমে সহজে আরও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা সম্ভব। এতে করে এসব শিল্পে বিপুল কর্মসংস্থানও তৈরি হবে বলে মনে করেন তিনি।

ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ২৭টি ব্যাংক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্লাস্টারভিত্তিক এসএমই ঋণ বিতরণ শুরু করেছে। বাকি ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানও এর সাথে যুক্ত হবেন বলে মাছুম পাটোয়ারী আশা করেন।

বৈঠকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এসএমই ঋণ বিতরণের জন্য সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়। আর যেসব ব্যাংক এখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি তাদের ঋণ বিতরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ২১ হাজার ৫৩ কোটি টাকার এসএমই ঋণ বিতরণ করেছে। এ বছর ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৮৮ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা।

(ওএস/এস/মে ২১, ২০১৪)