বিনোদন ডেস্ক : বাণিজ্যিক ছবির বাইরে ভিন্ন ধারার ছবিতে অভিনয় করে ভারতীয় সিনেমার জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছেন শাবানা আজমি ও নন্দিতা দাস।

এবার তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চলছেন বলিউডের হাল আমলের হাটথ্রুব সোনম কাপুর। সম্প্রতি শাবানা-নন্দিতার মতই সমকামী চরিত্রে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এই বিউটি কুইন। কিন্তু বাণিজ্যিক অভিনেত্রীর খোলস পাল্টে সোনম কি পারবেন শাবানা-নন্দিতার আলোয় আলোকিত হতে?

বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড লরেলের দূত হিসেবে চলমান ৬৭তম কান উৎসবে যোগ দিয়েছেন অনিল কন্যা। এক সাক্ষাৎকারে গত উৎসবে পাম ডি’অর বিজয়ী ‘ব্লু ইজ দ্য ওয়ার্মেস্ট কালার’এর মতই সিনেমায় অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। তার অভিমত, বলিউডে এই ধরনের ছবি তৈরি হওয়া দরকার এবং এর মাধ্যমেই সমকাম সম্পর্কে ভারতীয়দের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব।

কিন্তু ভারতে সমকামভিত্তিক সিনেমার ইতিহাস নতুন নয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল দীপা মেহতার ‘ফায়ার’। এই ছবিতে শাবানা আজমি ও নন্দিতা দাস নিজেদের অভিনয়শৈলীতে মূর্ত করে তুলছেন সমকামের মত মানবীয় আবেদনকে। কিন্তু এই ছবি বেশি দিন প্রদর্শিত হতে পারেনি ভারতের প্রেক্ষাগৃহে। বহু দেন-দরবারের পর সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিলেও এই ছবির বিরুদ্ধে মিছিল-মিটিং-ঘেরাও-জ্বালাও-পোড়াও অভিযান চালিয়ে ছিল ভারতীয় রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সংগঠনগুলো। বাকিটা কারও অজানা নয়।

শাবানা-নন্দিতার অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। কিন্তু সোনম কোনভাবেই তাদের সমতূল্য নন। অনিল কাপুরের মেয়ের বাইরে এখনও আলাদা কোন পরিচয় নেই তার। তাছাড়া এই ধরনের আর্টিস্টিক সিনেমাতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতাও নেই তার। অভিজ্ঞতা নয় বরং দক্ষতাই বলা উচিত, সোনমের যা দক্ষতা তা দিয়ে রোমান্টিক বা মারদাঙ্গা সিনেমা বাজারে চালানো যায়, আর্টিস্টিক মুভি নয়।

অবশ্য অসাধ্য বা অসম্ভব বলতে তো কিছু নেই। অভিনয় যার রক্তে মিশে আছে তার পক্ষে অঘটন ঘটানো সম্ভব। সেই জন্য অবশ্য সোনম অভিনীত এই ধরনের সিনেমা মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই শ্রেয়।

(ওএস/এস/মে ২১, ২০১৪)