অসহ্য গরমে অতিষ্ট জনজীবন। সারাদিন কর্মব্যক্ত থাকার পর রাতের বেলা মানুষ চায় একটু শান্তিতে ঘুমাতে। কিন্তু বালাই ষাট। ঘুমাতে গেলেও রক্ষা নেই গরম থেকে।

ফলে সারাদিনের ক্লান্তি আর দুর হয় না, যার প্রভাব পড়ে পরের দিনের কাজেও। আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত হওয়ায় তাদের এয়ার কন্ডিশন কেনার সামর্থ্য নেই। তাই রাতের বেলা শান্তিতে ঘুমাতে পারে না তারা। অথচ একটু কৌশল অবলম্বনে এই গরমেও শান্তিতে ঘুমানো যায় খুব সহজেই।

তাই এবার অর্থসূচকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো শান্তিতে ঘুমানোর ১০ কৌশল:

এক. দিন ও রাতে যদি প্রচন্ড গরম হয় তাহলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করুন।কারণ এতে শরীরের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় অনেক কমে যাবে। ফলে ঘুমাতে কোনো অসুবিধা হবে না। এমনকি ঘুমটাও গভীর হবে। আর যদি গোসল করা সম্ভব না হয় তাহলে পায়ের পাতা ভিজিয়ে ঘুমুতে যান। দেখবেন স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবেন।

দুই. রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ঘরের কোণে এক বালতি ঠাণ্ডা পানিও রাখতে পারেন। তাহলে ফ্যানের বাতাসে বালতির পানি বাষ্পাকারে পরিনত হবে। এতে করে ঘরের গরম অনেকটাই কমে আসবে।আবার আপনি চাইলে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ঘরের মেঝেতে পানি স্প্রে করতে পারেন। এতেও ঘরের তাপমাত্রা কমবে এবং আপনার ভালো ঘুম হবে।

তিন. গরমের সময় জানালা খোলা রেখে ঘুমালেও স্বস্তি লাগে। আবার জানালায় ভারী কাপড় ভিজিয়ে ঝুলিয়ে রাখলেও ঘরের বাইরের বাতাস প্রবেশের সময় ঠাণ্ডা বাতাস পাবেন।এতে রাতের বেলা শান্তিতেই ঘুম হবে আপনার।

চার. ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে একটি ভারী পশমি কাপড় ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। পরে ঘুমানোর সময় কাপড়টি কপালে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। তাহলে খুব তাড়াতাড়িই ঘুম এসে যাবে আপনার।

পাঁচ. ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ১.৫ – ২ ঘন্টা আগে খেয়ে নিন। কারণ খাওয়ার ১.৫ – ২ ঘন্টা পর্যন্ত পরিপাকের কারণে শরীর গরম থাকে। তাই শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে রাতের খাবারটা আগেই খেয়ে নিন।

ছয়. সম্ভব হলে বিছানার চাদর রোজ রাতে বদলে নিন। কারণ পরিষ্কার বিছানায় ঘুমালেই মনে এক রকমের প্রশান্তি আসে।যা ভালো ঘুমাতে সহায়তা করে।তবে এক্ষত্রে বিছানার চাদর সুতির হওয়াই ভালো।

সাত. খুব বেশী ঘামার প্রবণতা থাকলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শরীরে ট্যালকম পাউডার মেখে নিন। এক্ষেত্রে মেনথল ফ্লেভারের পাউডার বেশ আরাম দেবে।

আট. এই গরমে সন্ধ্যায় বা রাতে ব্যায়াম না করাই ভালো। আর যদি একান্তই করতেই হয় তাহলে ব্যায়ামের পর ভালভাবে স্নান করে পোশাক বদলে নিন।

নয়. গরমের দিনে এক বিছানায় বেশী মানুষ না ঘুমানোই ভালো। সবসময় নিরিবিলিতে ঘুমাবার চেষ্টা করুন। সেটা সম্ভব না হলে পাশের মানুষ ও আপনার মাঝে একটি কোল বালিশ রাখতে পারেন।

দশ. ফোমের বিছানায় গরম বেশী লাগে। তাই জাজিম ও তোশক ব্যবহার করুন। এমনকি গরমে আরামে ঘুমাতে শিমুল তুলার বালিশও ব্যবহার করতে পারেন।

(ওএস/এস/মে ২১, ২০১৪)