স্টাফ রিপোর্টার : ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়া হিসেবে রাজধানীর উত্তরা-মতিঝিল রুটে বিআরটিসির ২০টি বাসে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা দেওয়া হয়ছেে। যাত্রীরা এখন বাসে বসেই বিনা খরচায় খুব সহজে ব্রাউজ করতে পারেন।





ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়া হিসেবে রাজধানীর উত্তরা-মতিঝিল রুটে বিআরটিসির ২০টি বাসে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা দেওয়া হয়ছেে। যাত্রীরা এখন বাসে বসেই বিনা খরচায় খুব সহজে ব্রাউজ করতে পারেন।

দেশের সকল নাগরিকের মধ্যে কম খরচে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিতে হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়েছে একনেক সভায়। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় “ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন” প্রকল্পটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।

জানা গেছে ৯৫৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমেই দেশবাসীর কাছে স্বল্প খরচে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে যাবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড। তারা ৭টি বিভাগীয় শহরসহ জেলা ও উপজেলা শহরে মোট ৬৭০টি বেইজ ট্রান্সার্ভার স্টেশন (বিটিএস) নির্মাণসহ ৩শ কি.মি. অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক স্থাপন করবে।
প্রকল্পটির মোট ব্যয়ের মধ্যে জিওবি ৩৪৪ কোটি ৬৯ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য ৬১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

প্রকল্পটি ২০১৭ এর মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সবার জন্য কম খরচে ইন্টারনেট এক্সেস সুবিধা দিতে ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন একান্তভাবেই দরকার। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ কাজটি করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় ঢাকার দু’টি স্থানে কোর নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে। এছাড়া ৭টি বিভাগীয় শহরসহ জেলা ও উপজেলা শহরে মোট ৬৭০টি বেইজ ট্রান্সার্ভার স্টেশন (বিটিএস) নির্মাণসহ ৩শ কি.মি. অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।‘

দেশকে সত্যিকারের ডিজিটালাইজড করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সেবার পরিধি বৃদ্ধি এবং উচ্চ গতি ও উচ্চ মান সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা সহায়ক হবে বলেও জানান তিনি।

(ওএস/এস/মে ২১, ২০১৪)