লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: বাংলা ২য় পত্রে নম্বার কম পাওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নবম শ্রেণীর ৬ ছাত্রকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাত করেছেন এক শিক্ষক। এলোপাতারী বেত্রাঘাতে ছাত্রদের শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষত-বিক্ষত হওয়া গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

পরে প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপে অন্য ছাত্ররা তাদেরকে অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের জ্ঞান ফেরে।

বুধবার দুপুরে উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জ রছিম উদ্দনি উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে সকল শিক্ষকদের নিয়ে দ্রুত এক বৈঠক করে আহত ছাত্রদের চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে প্রধান শিক্ষক।

আহত ছাত্র রুবেল মাহমুদ, সোহাগ হোসেন ও আকাশ আহম্মেদ জানান যায়, কিছুদিন আগে নবম শ্রেণির সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়। এতে তারা সকল বিষয়ে পরীক্ষায় অংগ্রহন করে। বুধবার দুপুরে বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন শিক্ষক নাছির। এতে ওই পরীক্ষায় ১২ জন ছাত্র-ছাত্রী কিছু নম্বার কম পায়। এতে শিক্ষক নাছির ক্ষিপ্ত হয়ে নম্বার কম পাওয়ায় ছাত্র রুবেল মাহমুদ, সোহাগ হোসেন, আকাশ আহম্মেদ, আলী হোসাইন ও রবিন হোসেনকে শ্রেণি কক্ষে দাঁড় করিয়ে বেত দিয়ে মারতে থাকে শিক্ষক নাছির। একপর্যায় বেত্রাঘাতে তাদের শরীরের ভিবিন্ন স্থান ফেটে রক্তাক্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে অন্য ছাত্ররা তাদের উদ্ধার করে প্রথমিক চিকিৎসা দেয়।

এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক নাছিরের সাথে একাধিবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

রছিম উদ্দনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৬ ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশ আঘাত পাওয়া শিক্ষকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার দ্রুত জরুরী সভা করে ওই শিক্ষকের ৫ হাজার টাকা জরি মানা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরে বৈঠক করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাকে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র ও অন্য শিক্ষকরা জানিয়েছেন। প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়া জন্য।

রায়পুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আলম বলেন, ছাত্রদের বেত্রাঘাতের বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমআরএস/এলপিবি/আগস্ট ৬, ২০১৫)