গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও এক কৃষকের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতরা একটি মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট ও নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতি শেষে চলে যাওয়ার সময় এলাবাসী শামীম মিয়া নামে দুর্ধষ এক ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে।

নিহত ডাকাত শামীম (৩২) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার টাঙ্গাব ইউনিয়নের পাচাঁহার (বকুলতলা) গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র। তার বিরুদ্ধে গফরগাঁও, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় ১৫-১৬টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।

সিংহশ্রী ইউনিয়নের মেম্বার মতিউর রহমান জানান, বুধবার রাত আড়াইটর দিকে ১৫/১৬ জনের সশস্ত্র একদল ডাকাত নামিলা গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মকবুল হোসেনের বাড়িতে হানা দেয়। তারা দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে মকবুলের মা ও ছোট ভাই বাদলের স্ত্রীর গলার স্বর্নের চেইন, কানের দুল ও নগদ ২০ হাজার টাকাসহ মালামাল লুট করে। চলে যাওয়ার সময় ডাকাতরা মকবুলের একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়।

পরে ডাকাতরা পাশের দরিদ্র কৃষক জামাল উদ্দিনের বাড়িতে হানা দিয়ে নাকফুল, কানের দুল এবং নগদ ৫ হাজার টাকাসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতেরা মালামাল লুটে নিয়ে যাবার সময় এলাকাবাসীর ডাক-চিৎকারে গ্রামের লোকজন চারদিক থেকে ঘেরাও করলে ডাকাতেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। গ্রামবাসী ডাকাদদের খোঁজে ঝোপঝাড়ে তল্লাশী চালাতে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে তারা নামিলা-উলুসরা সড়কের বড় খালের ঢালে লুকিয়ে থাকা ডাকাত শামীমকে ধরে ফেলে। পরে গণপিটুনী দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু। তার কাছ থেকে একটি বড় দা ও একটি বিদেশী টর্চ লাইট পাওয়া গেছে।

খবর পেয়ে সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান উল্লাহ জানান, একদল ডাকাত বুধবার রাত ৩টার দিকে নামিলা গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে টের পেয়ে এলাকাবাসী ঘেরাও করে। এ সময় ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী ধাওয়া দিয়ে ডাকাত শামীকে আটক করে বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের কাপাসিয়া. শ্রীপুর, কালীগঞ্জ ময়মনসিংহের পাগলা থানায় ১৫/১৬টি মামলা রয়েছে।

(এসএএস/পি/অাগস্ট ০৬, ২০১৫)