ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরের শুক্তাগড় গ্রামের সম্প্রতি খুন হওয়া জ্বীনের বাদশা শাহ আলম ওরফে টাকার আলমের সহযোগী কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ স্বপন হাওলাদার (৩০) কে ৭০পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বড়ইয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। স্বপন উপজেলার উত্তর পালট গ্রামের শাহাজাহান চৌকিদারের ছেলে।

পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টার সময় স্বপন মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। পরে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই তাকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হয় এবং শুক্রবার দুপুরে ঝালকাঠি আদালতে প্রেরণ করা হয়।

স্থানীয় একাধিক সূত্র ও অভিযান পরিচালনাকারী রাজাপুর থানার এসআই আব্দুল কাইয়ুম জানান, বড়ইয়ায় ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চালিয়ে ৭০পিস ইয়াবাসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী স্বপনকে গ্রেফতার করতে পারলেও তার অপর সহযোগী পালট গ্রামের বাসিন্দা বড়ইয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর মাসুদের ছেলে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আবির আহম্মেদ রানা পালিয়ে যায়। তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসআই আব্দুল কাইয়ুম আরও জানান, মোঃ স্বপন হাওলাদার উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের জ্বীনের বাদশা শাহ আলম ওরফে টাকার আলমের সহযোগী ছিলো।

স্বপন দীর্ঘদিন ধরে রাজাপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদকের ব্যবসা করে আসছিলো, জানান পুলিশ। একাধিক স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী স্বপন ও রানার মাধ্যমে ইয়াবা এনে পালট গ্রামের কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী বাদশা হাওলাদারের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি দল ওই এলাকা ও রাজাপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার ব্যবসায়ী চালিয়ে আসছে। এরাই মোটরসাইকেল যোগে বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রি ও সরবারহ করে থাকে।

কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের বাড়ি পাল্টে হলেও সে ঢাকা ও খুলনায় অবস্থান বসবাস করে। রাজাপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। মাদকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে স্বপনকে গ্রেফতারের খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে, এ ধরনের মাদকের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছে সুশীল সমাজ।

(এএম/এএস/আগস্ট ০৭, ২০১৫)