নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা প্রতিনিধিদল শুক্রবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে বৈঠককালে ভারতের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বেনটেক ইন্ডিয়া লিমিটেড বাংলাদেশে বিশ্বমানের জ্বালানিসাশ্রয়ী এলইডি বাতি উৎপাদনে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়নের একটি প্রস্তাব দিয়েছে।

রাজধানীর ইস্কাটনে শিল্পমন্ত্রীর বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) উপদেষ্টা নকিব আহমেদ, যুগ্ম-পরিচালক বধিষ্ণতা মুখার্জি, বেনটেক ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় চৌধুরী, তেল ও গ্যাস শিল্পের উদ্যোক্তা এ কে মুখার্জি, ওয়্যারপ্লেট শিল্প উদ্যোক্তা দেবাংশু বোস, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক শিল্প উদ্যোক্তা এস কে সাহাসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানান, ভারত সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকারি অফিস-আদালতে এলইডি বাতি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের বাতি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সুযোগ রয়েছে। সড়ক, রেল ও সমুদ্রপথে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কানেকটিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে সম্প্রতি সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তারা মন্তব্য করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, ভারতের গৌহাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের শাখা অফিস স্থাপনের উদ্যোগ ভিসাদান প্রক্রিয়া সহজতর করবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের শিল্পখাতে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের প্রতি বাংলাদেশ সবসময় ইতিবাচক। দু’দেশের জনগণের মধ্যে অভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতিসহ ঐতিহাসিক সম্পর্ক এ দৃষ্টিভঙ্গি এর পেছনে কাজ করছে। তিনি জ্বালানিসাশ্রয়ী এলইডি বাতি উৎপাদনখাতে বিনিয়োগের জন্য সম্ভাব্যতা-যাচাই সমীক্ষা চালানোর পরামর্শ দেন। বাংলাদেশের জন্য লাভজনক যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পূর্ণ সহায়তা থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, টেকসই আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য আঞ্চলিক কানেকটিভিট জোরদার করা প্রয়োজন। ভৌগোলিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কানেকটিভিটি জোরদারের চমৎকার সুযোগ রয়েছে। বিদ্যমান সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দু’দেশকে এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। এ লক্ষ্যে তিনি দ্বি-পাক্ষিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে দু’দেশের উদ্যোক্তাদের যৌথভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন। বিনিয়োগের জন্য ভারতীয় উদ্যোক্তাদের যে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব বাংলাদেশ যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে বলে তিনি প্রতিনিধিদলকে জানান।

(ওএস/এলবিপি/আগস্ট ৮, ২০১৫)