নিউজ ডেস্ক :বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ এবং নব্বই দশকের অন্যতম প্রধান কবি সমর চক্রবর্তী। তিনি মূলতঃ শব্দ নিয়ে খেলা করেন। সৃষ্টি করেন নতুন নতুন শব্দভাষা; স্মরণযোগ্যকাব্যময় উজ্জ্বল পঙক্তি। নিজস্ব ভাষা-শৈলীতে উপস্থাপিত স্বতন্ত্র ধারার কবিতাগুলো সহজেই পাঠকের উপলব্ধির দরোজায় কড়া নাড়ে। পুস্পিত প্রকৃতি, চেতনা, স্বাধীন মতবাদ, নতুন চিন্তা, সর্বোপরি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বোধ ভেঙ্গে শাব্দিকতার অণু-পরমাণু সৃষ্টির নৈপূণ্যতা তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

কবিতার ধ্যানে ধ্যানী কবি তপস্যার মাধ্যমে সৃষ্টি করে চলেছেন বিমূর্তবাদের অসংখ্য মূর্ত কারুকাজ। তিনি বাংলাদেশী কবিতা ধারার অন্যতম ধারক, নির্মাতা।

কবি সমর চক্রবর্তী'র কবিতার বক্তব্য গভীরাশ্রিত। তাঁর কবিতার গভীরে থাকে প্রাণভোমরা, বহিরাঙ্গে নতুন ভাষা-ব্যঞ্জনায় বহুমাত্রিকতা। দার্শনিক চেতনায় সমৃদ্ধ তাঁর কবিতার শরীরের প্রতিটা শব্দই ভাষা ফোটায়। কবিতামগ্ন এই কবির প্রাচ্য মনোভূমির জীবন-চেতনা, ধর্ম, দর্শন, বিষয়ক বাংলা কবিতায় নতুন সংযোজনগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বোধ-চেতনায়, শিল্প-সৌন্দর্যে নান্দনিক।

কবি সমর চক্রবর্তী ১৯৭৩ সালের ১৫ মার্চ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার ময়নাগ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম কালীপদ চক্রবর্তী এবং মাতার নাম নীলিমা চক্রবর্তী।
প্রকৃতির প্রেম-প্রেরণায় শৈশব থেকেই কবিতা লেখা, ছাপা, শুরু। ছাত্রজীবন কেটেছে সাংবাদিকতা, ভ্রমণ, আড্ডা আর সংগঠনে। বোহেমিয়ান স্বভাব তাঁকে কোথাও স্থির হতে দেয়নি। ১৯৯২ সাল থেকে সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। কাজ করেছেন বিচিত্র পেশায়। প্রাতিষ্ঠানিক চোখ রাঙানি ছিন্ন করে বেছে নিয়েছেন "আজন্ম দুঃখের তপস্যা কবিজীবন"।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ: আদিম অশ্বের পিঠে (কবিতা ১৯৯৬), রৌদ্র ক্ষয়ে যায় তুষারে (কবিতা ১৯৯৭), আয়নায় কালো গোলাপ (কবিতা ১৯৯৮), বঙ্গ থেকে ভূষণা (ইতিহাস ১৯৯৯), রঙিন স্বপ্নের বাসিন্দারা (ছোটগল্প ২০০১), অন্ধকার ডানার মানুষ (কবিতা ২০০৫), ভূষণা রাজ্যের ইতিহাস (গবেষণামূলক আঞ্চলিক ইতিহাস গ্রন্থ ২০০৫), কঙ্কালে কুরচিফুল (২০১০)নক্ষত্র মরে মরে গ্রহ হেয় যায়(২০১১)দিগন্তের স্বপ্নারোহী(২০১৫)। ইংরেজীসহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে প্রায় দুইশত কবিতা।

সম্পাদনা করেছেন, সাপ্তাহিক চন্দনা, কথাশিল্প, সৈকত, উচ্চারণ,অনিকেত ইত্যাদি । এ ছাড়া
তিনি টিভি/চলচ্চিত্র অনুষ্ঠান নির্মাতা

অাসুন প্রিয় কবি'র বই পড়ি

(এলপিবি/আগষ্ট০৮,২০১৫)