বরিশাল প্রতিনিধি : ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন জেলার একমাত্র বিলাঞ্চল বলেখ্যাত উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের কালবিলা গ্রামের কয়েক’শ পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি গ্রামের একমাত্র ১৭নং পশ্চিম কালবিলা কালিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্কুলে আসা-যাওয়ার ভরসাই হচ্ছে নৌকা।

শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চরে চলমান দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে এসেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অতিসম্প্রতি প্রবল ভারি বর্ষণ ও জোয়ারের পানি অস্বাভিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২০দিন ধরে বিদ্যালয়ের আশপাশসহ পুরো মাঠে কোমর সমান পানি জমে রয়েছে। বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সজিব পারুয়া, দীপু রানী বিশ্বাস, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র পরিতোষ মল্লিকসহ অসংখ্য শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুলের আশপাশসহ মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত তাদের অনেক কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চরে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। এতে প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন শিক্ষার্থীদের নৌকায় করে স্কুলে যাতায়াত করতে গিয়ে পানিতে পড়ে ভিজে একাকার হতে হয়। এরইমধ্যে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর তাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা নৌকায় করে স্কুলে এসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে।

প্রধান শিক্ষক অজিত রায় জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে স্কুলে যাতায়াতের জন্য শিক্ষকদেরও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সাতলা-হারতা সড়ক থেকে বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি বছরের ছয় মাসই পানিতে তলিয়ে থাকে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি বাসুদেব পারুয়া জানান, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার (উচুঁ) করার জন্য ও নিচুঁ মাঠ ভরাটের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার আবেদন-নিবেদন করেও কোন সুফল মেলেনি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে খুব শীঘ্রই বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা উচুঁ করণসহ মাঠ ভরাটের কাজ শুরু করা হবে।

(টিবি/পি/অাগস্ট ০৮, ২০১৫)