স্টাফ রিপোর্টার : জনকণ্ঠের সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে আজ সোমবার। আগামী ১৩ আগস্ট রায় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চ।

প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। অপরদিকে আদালত অবমাননার ঘটনায় জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিক উল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের পক্ষে আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরীসহ চারজনকে সাক্ষী হিসেবে চেয়ে একটি আবেদন করা হয়।

যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চূড়ান্ত রায় প্রকাশের আগে আদালতের কথিত ভূমিকা নিয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হলে ২৯ জুলাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করে আপিল আদালত। একই সঙ্গে এদিন আদালত অবমাননার রুল জারির পর যতগুলো প্রতিবেদন জনকণ্ঠে প্রকাশ করা হয়েছে সবগুলো আদালতে আজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

গত ২৮ জুলাই জনকণ্ঠে মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় সম্পর্কে একটি মন্তব্য কলাম প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রধান বিচারপতির নজরে আসলে ২৯ জুলাই সকালে এ বিষয়ে রুল জারি করা হয়।

পরে ৩ আগস্ট পত্রিকার সম্পাদক আতিক উল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের উপস্থিতিতে রুলের শুনানি হয়। গতকাল রবিবার আদালত অবমাননাকর মন্তব্য লেখা বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এসে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক আতিক উল্লাহ খান মাসুদ এবং নির্বাহী সম্পাদক, কলাম লেখক স্বদেশ রায় বিচারক পরিবর্তনসহ আদালতে ৩টি আবেদন জমা দেন। এর মধ্যে বিচারক পরিবর্তনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানির আদেশ দেন আদালত। অন্য আবেদন দুইটি হলো : লেখার ব্যাপারে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের জন্য সময়ের আবেদন এবং চারজন সাক্ষীকে আদালতে তলব করার আবেদন।

(ওএস/এসসি/আগষ্ট১০,২০১৫)