পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরে ৪ লেনের রাস্তা উদ্বোধনের পরই কার্পেটিং উঠে যেতে শুরু করেছে। বুধবার ওই ঘটনায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) ঢাকা থেকে ২ সদস্যের এক বিশেষজ্ঞ দল রংপুরে রাস্তাটি পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহ করেছে।

রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের রংপুর বাস টার্মিনাল থেকে দক্ষিণে রেল গেট পর্যন্ত অনেকস্থানে কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় পাথর কেটে ফেলা হয়েছে।

রংপুর সওজ ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, রংপুর শহরের মধ্য এবং বাইপাশ দিয়ে মোট ১৬ কি.মি. রাস্তা ৪ লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্পের কাজ গত ফেব্রুয়ারীতে সম্পন্ন হয়। কাজটি সম্পন্নের পর রাস্তাটির রংপুর বাস টার্মিনাল থেকে দর্শনা রেল গেট পর্যন্ত অনেক স্থানে কার্পেটিং উঠে গেলে আবারো সংস্কার করা হয়। একপর্যায়ে গত ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখিত রাস্তাটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। এরপরই ১ মাসের মধ্যে রাস্তাটির কার্পেটিং আবারো উঠে যেতে শুরু করেছে। সওজ কর্তৃপক্ষ পাথর কেটে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। পাশাপাশি রাস্তাটির ব্যাপারে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানানোর পাশাপাশি কাজটির ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের জন্য চিঠি দেয়া হয়। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহের জন্য সওজ’র রোড রিসার্চ ল্যাবরেটরীরর নির্বাহী প্রকৌশলী সালমা আক্তার ও সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব এলাহী রংপুরে আসেন। এ সময় রংপুর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আব্দুল্লাহ্ আল মামুনসহ কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের সাথে ছিলেন।

সুত্র জানায়, ২০১০ সালে উল্লেখিত রাস্তাটি ডিএনকো নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে ২০১৩ সালে সেটি পরিত্যক্ত রেখে চলে যায়।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সওজ’র এক প্রকৌশলী জানান- ডিএনকো প্রতিষ্ঠানের করা কাজের মান সঠিক না থাকায় রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

রংপুর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন- রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরই ঢাকায় আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে ২ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল গবেষণার জন্য রাস্তা থেকে বিভিন্ন অংশের নমুনা সংগ্রহ করছে।

তিনি আরও বলেন- রাস্তার ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড এক বছর থাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি আগামী ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত রাস্তাটি দেখভাল করার জন্য বিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালন করবেন।

উল্লেখ্য, রাস্তাটির রংপুর বাস টার্মিনাল থেকে মডার্ন মোড় পর্যন্ত ২ টি গ্রুপে টেন্ডার হলে মেসার্স মাসুমা বেগম নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। এতে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। অপরদিকে ১৬ কি.মি রাস্তা ৪ লেনে উন্নীতকরণে মোট ১’শ ৪০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

(জিকেবি/এলপিবি/আগস্ট ১২, ২০১৫)