খুলনা প্রতিনিধি : পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতনে খুলনায় নিহত শিশু রাকিব হত্যা মামলার সর্বশেষ আসামি মিন্টু এ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার খুলনা মহানগর হাকিম মো. ফারুক ইকবালের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন।

রিমান্ডের তৃতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদে মিন্টু হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। এ নিয়ে মামলার তিন আসামির সবাই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন। খুলনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার রাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি শরীফ ও সহযোগী মিন্টুর ১০ দিনের আবেদন জানালে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রধান আসামি শরীফ রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে এবং অপর আসামি তার মা বিউটি বেগম গত ৭ আগস্ট ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

খুলনা নগরীর সেন্ট্রাল রোডের দিনমজুর আলমের ছেলে রাকিব টুটপাড়া কবরস্থানের পাশে শরীফ মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করতো। কিছুদিন আগে সে ওই গ্যারেজ ছেড়ে পিটিআই মোড়ে আরেকটি গ্যারেজে কাজ নিলে ক্ষুব্ধ হন মালিক শরীফ। গত ৩ আগস্ট বিকেলে গ্যারেজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রাকিবকে ডেকে নিয়ে নির্যাতনে করেন শরীফ।

নির্যাতনের এক পর্যায়ে পৈশাচিক কায়দায় রাকিবের মলদ্বারে কমপ্রেসার মেশিনের পাইপ ঢুকিয়ে দেন তারা। এতে রাকিবের পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে ফেঁপে ওঠে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যায় রাকিব।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই শরীফ, তার মা বিউটি বেগম ও সহযোগী মিন্টু মিয়াকে ক্ষুব্ধ জনতা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। নিহত রাকিবের বাবা আলম ওই তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১২, ২০১৫)