গাজীপুর প্রতিনিধি : জাতির জনকের ৪০ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে গণভোজের জন্যে শুক্রবার নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে একটি করেসহ, মোট ৯৯টি গরু বিতরন করেছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ১৫ আগষ্ট পালনের নামে চাদাঁবাজি বন্ধ এবং নেতাকর্মীদের নৈতিক চেতনা বদলাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
 

গরু বিতরণ অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকট আজমতউল্লা খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডল, গাজীপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: রজব আলীসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিপুল নেতা-কর্মী।

বক্তব্যে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিত্তবানরা এভাবেও এগিয়ে আসলে সারা দেশে শোক দিবস পালনের নামে চাঁদা উঠাতে হবেনা। আজ যে নতুন পথ দেখানো শুরু হল, তাতে আমারা গাজীপুরবাসী উচ্ছ্বসিত।

আজমতউল্লা খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, গত ৪০ বছর কোন না কোন ভাবে চাঁদা ও দান নিয়ে এবং ব্যক্তিগত সহায়তায় টাকা সংগ্রহ করে নেতা-কর্মীরা জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। চাঁদা ও দান উঠাতে গিয়ে তাদের অনেক লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু আজ যেভাবে নতুন যাত্রা শুরু হল, তাতে আমাদের দলের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জল হবে। এ উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল জানান, মসজিদ-মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠনে দান-অনুদান দিয়ে এবং অসহায়-দু:স্থদের পাশে দাঁড়িয়ে অনেক আগেই মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি ২০০৯ সালে বিপুল ভোটে গাজীপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তরুণদের নিয়ে নামেন মাদক, চাঁদাবাজি, দখলবাঁজি, এবং ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধের আন্দোলনে। এসব কর্মকান্ডের কারনে তরুণ বয়সেই দলমত নির্বিশেষে জেলার সকল শ্রেণীর বাসিন্দাদের প্রিয় প্রাত্র, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অহংকারে পরিণত হন তিনি। দলের জন্যে আজ যা করলেন তা অনুকরনীয় হয়ে থাকবে।

(এসএএস/এএস/আগস্ট ১৪, ২০১৫)