গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে এক বন কর্মচারীর বাসায় ডাকাতি ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা গৃহকর্তা অজয় কুমার বিশ্বাস (৪২) ও তার স্ত্রীকে শ্যামলী বালাকে (৩৭) কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।

আশংকাজনক অবস্থায় অজয় কুমারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে শহরের ভূরুলিয়া এলাকায় বন বিভাগের সরকারী আবাসিক কোয়াটারে। শহর সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতি এবং কুপিয়ে আহতের ঘটনায় আশেপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

শ্যামলী বালা জানান, কলবসিবল গেটের তালা ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হাফপ্যান্ট ও মুখোশ পড়া ৭/৮ জনের একটি ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে। ঘরের দরজা ভাঙ্গার সময় অজয় ঠেকানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডাকাতরা ঘরে ঢুকেই অজয়কে কোপাতে থাকে। এ সময় ভয়ে চিৎকার দিলে ডাকাতরা মুখ চেপে ধরে তাকেও কোপায়। পরে ঘরের আলমারী ও ওয়্যারড্রপ খুলে তছনছ করে এবং নগদ টাকা লুট করে। তারা শ্যামলী বালার গলার চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। তারা দু’জনই অসুস্থ্য থাকায় কি পরিমান মালামাল খোয়া গেছে, তা তিনি জানাতে পারেনি।

পাশের কোয়াটারের কর্মচারী মো: ফয়সাল হোসেন জানান, ডাকাতরা তার বাসায় বাইরের বাতি ভেঙ্গে ফেলে এবং দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাডাকি শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়।

অজয় কুমার বিশ্বাস বন বিভাগের বন্যপ্রাণী শাখার প্রাণী রক্ষক পদে চাকুরি করেন। স্ত্রী ও দুই পুত্র নিয়ে তিনি গাজীপুর শহরের মাকার্জ মসজিদ সংলগ্ন ভূরুলিয়া এলাকার বন বিভাগের ওই কোয়াটারে বাস করেন।

বন্য প্রাণী শাখার রাজেন্দ্রপুর পশ্চিম বিটের ফরেষ্টর সাইফুল ইসলাম জানান, ডাকাতরা আজয় কুমার বিশ্বাসের মাথা, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। তার মুখের চোয়াল প্রায় আলাদা হয়ে গেছে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত তাকে ৫-৬ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অজয়ের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি ডাকাতি না পূর্ব বিরোধের জেরে ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(এসএএস/এলপিবি/আগস্ট ১৬, ২০১৫)