বরিশাল প্রতিনিধি: বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের রায়ে নগরীতে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত এক ডজন মামলার সাত জঙ্গিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করলেও সম্প্রতিসময়ে হাইকোর্ট থেকে সাজাপ্রাপ্ত ওই সাত জঙ্গি পর্যায়ক্রমে জামিন লাভ করে এখন মুক্ত জীবনযাপন করছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জিয়াউর রহমান জিয়া ও জাহিদ বাবুকে তিনটি মামলায়, সরোয়ার হোসেন ও আব্দুর রহিমকে দুটি মামলায় এবং জালাল আরেফিন, আবু ইউসুফ মজুমদার, গিয়াস হাওলাদারকে একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছিল।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিরিজ বোমা হামলায় দন্ডিত কোন আসামি কারাগারে নেই। সম্প্রতি সময়ে সকলেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে গেছে।

আদালত সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট নগরীর ১৮টি স্থানে একই সময়ে সিরিজ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবির জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় ১২টি পৃথক মামলা দায়ের করে পুলিশ। থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এস.আই) জহুরুল ইসলাম সরদার, ইমরান হোসেন, আনোয়ার হোসেন, আল-মামুন উল ইসলাম, শিশির কুমার পাল ও মোশারফ হোসেন বাদি হয়ে দায়ের করা ১২টি মামলায়ই জিয়াউর রহমান জিয়া, জাহিদ বাবু, সরোয়ার হোসেন, আব্দুর রহিম, গোলাম মোর্শেদ চৌধুরী রেজা, আবু সোলায়মান সুজন, জালাল আরেফিন, মো. মারুফ, গিয়াস হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, আবু ইউসুফ মজুমদার ও আব্দুস সোবাহানকে আসামি করা হয়েছিল।

সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর সাভার থেকে আব্দুর রহিমকে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ ও ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে রাজধানীর বাড্ডা থেকে জাহিদ বাবুকে র‌্যাব সদস্যরা গ্রেফতার করে। জিয়াউর রহমান জিয়া ও সরোয়ার হোসেন ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করে। অন্যান্যদের বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হওয়ার পর জাহিদ বাবুকে দু’বার কারা ফটক থেকে গ্রেফতার করছিলো পুলিশ। পরে পৃথক দুটি ডাকাতির মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছিলো। সে মামলায়ও জাহিদ বাবু জামিনে মুক্তি পায়।

দন্ডিত সাত জঙ্গি জামিনে মুক্ত আছে বলে স্বীকার করে বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন পিপি ও জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, দন্ডিত জঙ্গিরা সম্প্রতিসময়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছে।

(টিবি/এলপিবি/আগস্ট ১৮, ২০১৫)