কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :মাত্র তিনশ গজ সড়ক। সড়কের দুই পাশে দুই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আছে শিল্প কারখানা। এই সড়ক পথে কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা পর্যটকসহ প্রতিদিন অন্তত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে। রফতানি হয় কোটি কোটি টাকার মাছ। কিন্তু সেই সড়কটিই এখন মৃত্যুফাঁদ। কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের আলীপুর ফেরিঘাট সড়কের চিত্র এটি। এ সড়কের বেহাল দশার কারনে হাজার হাজার মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কে ২/৩ ফুট পানি জমে আছে। পানি জমে থাকার কারনে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত। মানুষের চলাচলের উপায় নেই। তাই ভ্যানে পাঁচ টাকা ভাড়া দিয়ে পার হতে তিনশ গজ সড়ক। প্রতিদিনই সড়কের গর্তে যাত্রীবাহী বাস, মাছবাহী ট্রাক-পিকআপ আটকে বন্ধ থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা সড়ক যোগাযোগ। এ অবস্থা চলছে গত দুই বছর ধরে কিন্তু দেখার কেউ নেই।
সংবাদকর্মী নাসির উদ্দিন বিপ্লব জানান, এই সড়কটি মেরামত করার জন্য স্থানীয় সর্বস্তরের মানুষ কয়েক বছর আগে সড়কে ধানের চারা রোপন করে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু কিছুই হয়নি। ব্যবসায়ী আবুল কালাম জানান, বর্ষা হলেই সড়কের কাঁদা পানি উপচে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। হাটু সমান কাঁদা জমে যায়। এ কারনে প্রতিদিনই দূর্ঘটনা ঘটছে।

জানাযায়, কলাপাড়ার ব্যস্ততম বন্দর আলীপুর। এখান থেকে প্রতিদিন শতশত মন মাছ পরিবহন হয়। আলীপুরের শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার ট্রলারের জেলেরা এই রাস্তা দিয়েই ট্রলারের মালামাল পরিবহন করে। কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা পর্যটকদেরও এই পথে কুয়াকাটায় যেতে হয়। কিন্তু এই সড়কটিই উপজেলার সবচেয়ে বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ন সড়ক।

পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, শেখ রাসেল সেতু উদ্ধোধন হলে এই রাস্তা দিয়ে পর্যটকরা আর চলাচল করবে না। তাই এ সড়ক সংস্কারের কোন পরিকল্পনা তাদের নেই।
কলাপাড়া এ জিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন জানান, সড়কটি খুবই ঝুৃঁকিপূর্ণ। কিন্তু জরুরী বরাদ্ধ না থাকায় তাঁরা সংস্কার করতে পারছেন না।


(এমকেআর/এএস/আগস্ট ১৮, ২০১৫)