ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরের উত্তর উত্তমপুর স্কুলের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১২) অপহরণ করে একাধিক বার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জের চামটা গ্রামের রতন ফকিরের ছেলে ভন্ড ওঁঝা সোলায়মান ফকিরসহ তার ৭ সহযোগীর বিরুদ্ধে রাজাপুর থানায় ১৭ আগস্ট সোমবার গভীর রাতে উপজেলার পশ্চিম বাদুরতলা গ্রামের বাসিন্দা ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ অপহৃত ওই স্কুল ছাত্রীকে এ ঘটনার প্রধান আসামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

মামলা সূত্র ও ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা জানান, আসামী সোলায়মান ফকির দীর্ঘদিন ধরে রাজাপুরের বিভিন্ন এলাকায় কবিরাজ (ওঁঝা) হিসেবে ঝার-ফুক দিয়ে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার করে বলে জনশ্রুতি থাকায় ওই স্কুল ছাত্রীর মেয়েলী রোগে আক্রান্ত হলে ওঁঝা সোলায়মানকে স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে নিয়ে আসলে স্কুল ছাত্রীকে ঝাঁর-ফুকসহ বিভিন্ন চিকিৎসা দেয়। পরবর্তীতে ওঝাঁ মাঝে মধ্যে তাদের বাড়িতে আসতো এবং ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিত। এ ঘটনা ওই ছাত্রী পরিবারের লোকজনকে জানালে প্রতারক ভন্ড ওঁঝা সোলায়মান ফকিরকে বাড়িতে আসতে নিষেধ করলে ওই ওঁঝা বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। ওই স্কুল ছাত্রী ও পিতা জানান, এরপর ১৮ জুলাই ঈদের দিন সকালে কদমতলা নামকস্থান থেকে ওৎ পেতে থাকা ভন্ড সোলায়মান ফকির ওই স্কুল ছাত্রীর মুখমন্ডলে অচেতন করা স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে অপহরণ করে নিয়ে বাকেরগঞ্জের চামটার নিজবাড়িতে নিয়ে আটক রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এদিকে ওই ছাত্রীকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার পিতা ২০ জুলাই রাজাপুর থানায় জিডি (নং ৭০০) করি। পরবর্তীতে ১৪ আগস্ট রাতে গোপনে ওই এলাকার শিপনের স্ত্রী রিনার মোবাইল থেকে স্কুল ছাত্রী তার পরিবারের কাছে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায় এবং রাজাপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বাকেরগঞ্জের নিয়ামতির নৌ-পুলিশ ফাড়ির পুলিশ সদস্যরা ১৫/০৮/২০১৫ তারিখ বিকেলে ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে।

রাজাপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস জানান, ওই স্কুল ছাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ওসি জানান, আসামীদের গ্রেফতারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

(এএম/এলপিবি/আগস্ট ১৯, ২০১৫)