রংপুর প্রতিনিধি: শুধু জামিন নয়, মামলা প্রত্যাহার এবং কাদের ইন্ধন ও প্ররোচনায় মামলার নামে সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে তা খুঁজ বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে রংপুরের সাংবাদিক ও সুধী সমাজ।

বুধবার দুপুরে ‘রংপুরের সাংবাদিক সমাজ’র ব্যানারে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও সমাবেশে সাংবাদিক ও সুধী সমাজ এই আহবান জানান। একই সঙ্গে তারা সম্মানের সঙ্গে প্রবীর সিকদারকে তার বাসায় পৌঁছে দেয়ার দাবি জানিয়েছে। প্রবীর সিকদারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং তার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এই প্রতিবাদী কর্মসুচীতে স্থানীয় সাংবাকদিকরা ছাড়াও রংপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তৃতা দেন।

রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলুর সভাপতিত্বে এবং জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মানিক সরকার মানিকের সঞ্চালনে সেখানে বক্তব্য রাখেন বিএমএ নেতা ডা. সৈয়দ মামুনার রহমান, নির্মূল কমিটির সভাপতি ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সিপিবি নেতা শাহীন রহমান, বাসদ নেতা আনোয়ার হোসেন বাবলু, সুজনের অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু, ওয়াকার্স পার্টির কাজী মাজিরুল ইসলাম লিটন, জাসদের গৌতম রায়, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ, কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ মিয়া, গণজাগরণ মঞ্চের রাকিবুল হাসান রকেট, প্রজন্ম-৭১ এর দেবদাস ঘোষ দেবু, রিপোটার্স ক্লাবের শাহ বায়েজীদ আহমেদ, রিপোটার্স ইউনিটির রবিউল ইসলাম সরকার বাবলু, মাহীগঞ্জ প্রেসক্লাবের বাবলু নাগ, ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদ হাসান লুসিড প্রমূখ। বক্তারা বলেন, অতীতে আমরা দেখেছি, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীকে সসম্মানে পুলিশী প্রহরায় আদালতে নেয়ার দৃশ্য। আর এবার দেখলাম প্রবীর সিকদারের মত একজন শহীদ সন্তান, শিক্ষক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সাংবাদিকের হাতে হাতকড়া লাগিয়ে কী রকম নিলর্জ এবং ঔদ্ধর্ত্বপুর্ণ আচরণ করা হচ্ছে। কাদের ইন্ধন এবং প্ররোচনায় পুলিশ এসব করছে সেসবও তদন্তের মাধ্যমে করে খুঁেজ বের তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ জাতির কাছে প্রশ্ন রাখেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন পালনকারী একটি সরকারের শাসনামলে কী করে এসব সম্ভব ?



(এমএস/এসসি/আগষ্ট১৯,২০১৫)