রানীশংকৈল প্রতিনিধি : ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈলের বাসিন্দা সোলাইমান আলী (এফ এফ) পাকিস্তানী হানাদারদের সাথে লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করলেও মুক্তিযোদ্ধা সনদ অর্জনে নিয়ে বার বার ব্যার্থ হচ্ছেন। হার মানছেন বর্তমান বাংলাদেশের প্রশাসনিক কর্তা বাবুদের কাছে। দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার বজরুক হরিণা গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে সোলাইমান আলী (৬৫)  স্বাধীনতা যুদ্বের সময় (ঢ়ধঃরৎধস ুড়ঁঃয পধসঢ়) এ মহিউদ্দীনের আহম্মেদের তত্বাবধানে ৪ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ গ্রহণ (সার্টিফিকেট নং ৪২৮০) করে দিনাজপুর ৭ নং সেক্টরে যুদ্ব করে পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করে স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে মায়ের কোলে ফিরেছিলেন।

পরে সংসারের অভাব অনাটান থাকায় কাজের সন্ধানে নিজ জেলা শহর দিনাজপুরে আসেন। আবার সেখান থেকে জীবিকার সন্ধানে বর্তমান ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈলে আসেন এবং এখানে এসে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ছোট একটি পদে চাকুরীতে যোগদান করেন। এবং রানীশংকৈলেই আবাসস্থন করেন। পরবর্তীতে যোগাযোগের অভাব ও সময়ের অভাবে মুক্তিযদ্বও বিষয়ে তার যুদ্ধকালীন সাথীদের সাথে কোন যোগাযোগ রাখতে পারেন নি হতভাকা মুক্তিযোদ্বা সোলাইমান আলী। বর্তমানে তার চাকুরী শেষ তিনি অবসরে রয়েছেন। এর ফাঁকে তিনি অনেকবার মুক্তিযোদ্বা মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোন লাভ এখন প্রযন্ত পান নি। এখনও তাকে মুক্তিযোদ্ধার বর্তমান সরকারের দেওয়া সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য ঘুরতে হচ্ছে বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে। তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্বা বিষয়ক মন্ত্রী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্বা কাউন্সিলের নিকট জোর আবেদন জানিয়ে বলেছেন তার শেষ বয়সে তাকে যেন মুক্তিযোদ্বা সন্মানটুকু দেওয়া হয় এতেই তিনি মরেও শান্তি পাবেন। মুক্তিযোদ্বা সোলাইমান আলীর নিকট তৎকালীন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত সার্টিফিকেটের মূল কপি রয়েছে।


(কেকে/এসসি/আগষ্ট২১,২০১৫)