রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে হঠাৎ করই কাঁচা মরিচে আগুন ধরেছে। দুই দিন আগেও যেখানে প্রতি কেজি মরিচ ৪০ টাকা ধরে বিক্রি হতো সেই কাঁচা মরিচ এখন কেজি দুইশ’ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে না।

শনিবার রৌমারী ও রাজীবপুরের বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

রৌমারীর কর্তিমারী বাজারে গিয়ে দেখা গেল আড়াইশ’ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম নিচ্ছে ৫০ টাকা করে। সে হিসেবে এক কেজির দাম ওঠে দুইশ’ টাকা। হঠাৎ করে কেন এত দাম-জানতে চাইলে মরিচ বিক্রেতা জাবেদ আলী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে আমদানি করা যায়নি। বাইর থিকা পাইকারও আসেনি। বাজারে মরিচ নাই। যার কাছে মজুদ ছিল সে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।’

আমজাদ হোসেন নামের এক ক্রেতা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘খালি কি মরিচের দাম বাড়ছে? যে পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে কেনা গেছে আজ তা ৮০ টাকা চাইছে।’

কাঁচা মরিচের ওই দাম প্রায় সকল হাটবাজারেই। রৌমারী বাজারের বড় একজন কাঁচা তরকারি ব্যাপারি মন্টু মিয়া জানান, বৃষ্টির কারণে আমদানি নাই। বাইর থেকে কেনা যায়নি। খালি হাতে ফেরত আইছি। দিন ভালো না হইলে দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছামতো দাম বাড়ায়। প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার মনিটরিং না করায় ভোক্তারা বরাবরই প্রতারিত হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি তো প্রশিক্ষণে আছি। তাই কিছু বলতে পারছি না।’

(আরএস/পিএস/আগস্ট ২২, ২০১৫)