আমার কবি মা


আতাফুলের ত্রিকোণ হাসিতে ভাসিয়ে এলে একটি ভাঁজতোলা বেলা।
ওগো তেছপাতা -মেয়ে,
তোমার নাভিতে যে ডেলি 'মিক্সটার্ড ' ঠেকাও, এতো এতো সুঁইফোটা পাপড়ি
কত কত বেদনার মিক্সচার ঘটায়?
তুমি আগেই ভালো ছিলে,
যেমন ছিলো ভোর - সহা
টগরের সুখ -জাগা আলো!
ধুতুরারা কামাল হয়ে হয়ে
লাল -দালানে মুখ লুকাতো,
তোমার তাড়াহুড়ায়।
সিনানের সুবাসে কোমল মায়া হতো
আয়নার প্রলেপ!
হেঁটে, বেটে
কাটিয়েছো সেইসব ছিমছাম ঘর।
আজ আবার,
তুমি ফিরে চলো দূর বেলা হেঁটে ওঠা প্রবাদে,
আজকের প্রভেদে তুমি যে বেমানান!
তোমার মেহমান আবার ফিরে পাক চালে পড়া বিষ্টির হাসি।
তুমি মিছরির দাঁত দিয়ে
কেন শুধু আজ হাসো
চিনি - ফোঁড় হাসি?


আশীবিষ
.

ধুতুরার তাবিজে রোপা সমাজের চাদর
একটু উনিশ বিশে বিষ মিলে যায়
বিষাক্ত ভূতেরা চ্যাগাল সুযোগেই দিয়ে ওঠে
সভ্যতার জাদু মাখা নরম সুরে মধ্য প্রাচীন যুগের বিষবাষ্প যোগান করে যায়
বিষাক্ত মানুষ নরম যতোই হোক,
সাপের আশীতে বিষই থেকে থাকে
মধু তো নয়!
চিনি - ফোঁড় হাসিতে



আমার অঙ্ক পিতা


হাঁটিতে
বাটিতে
দাওয়াতে
খাওয়াতে
চলিতে
বলিতে
জিতিতে
ঠকিতে
বাসেতে (Bus)
বাসেতে(Live)
জাতেতে
ধাঁতেতে

তুমিই
আছো
দেখি
শেষ
অবধি
.
.
.
.
পিতা
জন্মদাতা আমার


অধরা


ওরে
অধরা আমার
অধরে আমার
আজ
বচনাচার অধরা
আমার অধরা
অধরার অধরের
প্রিয়তম ফুৎকারে
অধরা হয়
আমি অধরায়
অধরা রই
পরলোক আমার হয়.....


উত্তর পদ্মাপুরাণ


পদ্মাবতী হেরিনু আজি হিজাবেরো তলে,
রৌপ্য মলে সাজিয়াছে পদপুষ্প গলে।
পদ যেন পদ নহে পদ্মেরো পাতা,
কহিতে ও রূপ আজি ফুরাইবে খাতা।
লোচনের পাপড়িতে তুলতুলে ক্ষির,
মণিতে শোভিছে সুর নীল কোনো মীড়।
খুলিতে কহিনু তার নাসিকাবরণ,
খুলিলে হেরিণু সেথা কণকাভরণ।
ভ্রুযুগলে আঁকা যেন সত্যবতী পথ,
আমারে টানিয়া লহে রতিকায়া রথ।
কি হেরিনু কি হেরিনু আজি কক্ষ মাঝে,
মদনেরে ডাকিবারে আজিকেই সাজে!!






(/এসসি/আগস্ট২২,২০১৫)