চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : আগামি জুলাইয়ের মধ্যে আবাসন প্রকল্পের কাজ শেষ করে সেখানে ৪ হাজার নারীশ্রমিকের নতুন আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

দেশে এই প্রথমবারের মতো নারী শ্রমিকদের জন্য আবাসন নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

তবে নির্মিত এসব ভবনের কর্তৃত্ব যেহেতু এককভাবে তৈরি পোশাক মালিকদের হাতে থাকবে তাই এর পুরোপুরি সুফল নারী শ্রমিকরা পাবে না বলে আশংকা করছেন এ শিল্পের শ্রমিক নেতারা।

জানা যায়, প্রকল্পের কাজ ২০০৯ সালে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় ২০১২ সালের প্রথম দিকে। নগরীর সল্টগোলায় সিডিএ’র নিজস্ব ৩৬ কাঠা জায়গায় ৩০ কোটি টাক ব্যয়ে ছয়তলা বিশিষ্ট পাঁচটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে ২ দুটি ভবনের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়াসহ বাকিগুলোর কাজও প্রায় শেষ হওয়ার পথে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামি জুলাইয়ের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রত্যেকটি ভবনের আবাসিকদের জন্য বিনোদনের সব ব্যবস্থাসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা থাকবে বলে জানা গেছে।

সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, ২৬টি কারখানার মালিকের কাছে প্রতি বর্গফুট ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে । ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে এসব কক্ষ বিক্রি হচ্ছে ।
এসব কক্ষের মালিকরা কিসের ভিত্তিতে তাদের কারখানার নারীশ্রমিকদের দিবেন সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে, তৈরি পোশাক শিল্পের নারীশ্রমিক সংগঠনগুলোর নেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস অর্থসূচককে বলেন, এসব ভবন যেহেতু সরকারি উদ্যোগে তৈরি করে তা মালিকপক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয়। সেহেতু মালিকপক্ষের নিজের মুনাফার জন্য বাড়তি ভাড়া নিবে। সে বিষয়ে নির্দিষ্ট একটি ভাড়া সিডিএ নির্ধারণ করে দিলে এ সমস্যা সমাধান হবে বলে মনে করেন তিনি।

বিজিএমইএ’র তথ্য মতে চট্টগ্রামে প্রায় চার লাখ নারী শ্রমিক কর্মরত আছেন। সে তুলনায় চার হাজার নারীশ্রমিকদের আবাসনের ব্যবস্থা হলেও তা শুভ লক্ষণ। সরকার উদ্যোগী হলে আরও বিপুল সংখ্যক নারীর জন্য নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা হবে বলে জানান বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

(ওএস/এস/মে ২২, ২০১৪)